‘রিকশার রঙ আর চালকদের মুখ’ মনে থাকবে মিলারের
তিন বছরের বেশি সময় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন শেষে শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) নিজ দেশের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন আর্ল আর মিলার।
ঢাকাকে বিদায় জানানো মার্কিন রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে কাটানো সময় ও প্রিয় স্মৃতিগুলো স্মরণ করেন। ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের ফেসবুকে মিলার বলেন, আমার সবচেয়ে প্রিয় স্মৃতি হয়ে থাকবে বাংলাদেশের জনগণের উষ্ণতা ও সৌজন্য। আমেরিকান কূটনীতিক হিসেবে গত ৩৫ বছরে আমি এমন কোনো দেশে কখনও কাজ করিনি যেখানকার মানুষেরা এত অতিথিপরায়ণ, চিন্তাশীল ও অমায়িক।
আরেক বার্তায় রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে নিজের সেরা স্মৃতিগুলো তুলে ধরেন। তিনি বলেন, রিকশার রঙ আর চালকদের মুখের কথা মনে পড়ে যাবে। পুরান ঢাকার ছাদ আর ঘুড়ি কিংবা সন্ধ্যার আকাশে পাখির উড়ে যাওয়া মনে পড়বে। আমি দেখেছি, স্কুল ইউনিফর্ম পরা শিশুরা গ্রামের রাস্তায় হেঁটে বাড়ি যাচ্ছে। এছাড়া জাহাজ ভর্তি চট্টগ্রামের নদী, কক্সবাজারে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর নৌকা, সিলেটের গাঢ় সবুজ পাহাড়, বরিশালের উদ্দাম সবুজ, বান্দরবানের পাহাড় ও সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভে সকালের কুয়াশা সবই অনবদ্য।
করোনা পরিস্থিতির কারণে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ পাননি মার্কিন রাষ্ট্রদূত। তবে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক ও পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে।
২০১৮ সালের ১৮ নভেম্বর বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন মিলার। ঢাকায় আসার আগে ২০১৪-২০১৮ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রদূত মিলার বতসোয়ানায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ১৯৮৭ সালে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরে যোগ দেন। ২০১১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে যুক্তরাষ্ট্রের কনসাল জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া নয়াদিল্লি, বাগদাদ ও জাকার্তায় মার্কিন দূতাবাসে আঞ্চলিক নিরাপত্তা কর্মকর্তা হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি।
মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় ও ইউনাইটেড স্টেটস মেরিন কপস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর মার্কিন মেরিন কোরে যোগ দেন আর্ল রবার্ট মিলার। এর মধ্যে তিনি ১৯৮১ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত মেরিন কোরে এবং ১৯৮৫ থেকে ১৯৯২ পর্যন্ত মেরিন কোর রিজার্ভে অফিসার পদে ছিলেন।
এনআই/আইএসএইচ