জুয়ার শাস্তি বাড়ানোর প্রস্তাব ডিসিদের
জুয়া আইনে অপরাধ করলে সেগুলোর শাস্তি অনেক কম। আসামিরা উপযুক্ত সাজা না পেয়ে বেড়িয়ে যাচ্ছেন, আবারও একই অপরাধ করছেন। আর তাই জুয়া আইনের অপরাধগুলোর শাস্তি বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন জেলা প্রশাসকরা (ডিসি)।
বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এবং সুরক্ষা সেবা বিভাগের সঙ্গে ডিসি সম্মেলনের তৃতীয় ও শেষ দিনের অষ্টম অধিবেশনে তারা এই প্রস্তাব করেন।
ডিসি সম্মেলন শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ডিসিরা আমাদের কাছে কিছু প্রস্তাব করেছেন। তারা নিজ নিজ এলাকায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন বৃদ্ধি, পুলিশ ফাঁড়ি বসানো, নৌ পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো, কোস্টগার্ডের আরেকটি ঘাঁটি করার কথা বলেছেন। তাদের প্রস্তাবগুলোর মধ্যে যেগুলো আমরা এখনই পূরণ করতে পারব, সেগুলো আমরা তাদের জানিয়েছি। আর কয়েকটি দাবি নিয়ে কাজ করতে একটু সময় লাগবে।
তিনি বলেন, ডিসিরা আমাদেরকে জুয়া আইন সংশোধনের অনুরোধ করেছে। তারা জুয়ার শাস্তি বাড়ানোর কথা বলেছেন। আমরা বলেছি, জুয়ার যে আইনটি আমরা অনুসরণ করছি সেটি ব্রিটিশ আমলের আইন। এই আইনটি কিভাবে হয়েছিল এগুলোর বিষয়ে আমাদের কাছে সব তথ্য নেই। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমরা তাদের বলেছি আমরা এই জুয়া আইনকে সময়োপযোগী ও হালনাগাদ করার ব্যবস্থা নেব।
সরকারের শেষ দুই বছরে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীলতা নিয়ে ডিসিদের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা বলেছি এ ধরণের কাজে (আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ) ডিসি, পুলিশ সুপারের (এসপি) মত যেসব প্রশাসনিক কর্মকর্তারা আছে তারা সবাই যেন একসঙ্গে মিলেমিশে কাজ করে।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাবকে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন থেকে বাদ দিতে ১২টি মানবাধিকার সংস্থার চিঠির প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলে, পৃথিবীতে এমন কোনো দেশ নেই যেখানে পুলিশের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের এনকাউন্টারের (বন্দুকযুদ্ধ) ঘটনা না ঘটে। যখন সন্ত্রাসীরা অস্ত্র তুলে কথা বলে, তখন পুলিশ বাহিনী তো চুপ হয়ে বসে থাকতে পারে না। তখনই এ সমস্ত ফায়ারিং-এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটে। আর এগুলোর সবই যদি এলিট ফোর্স র্যাবের ঘাড়ে দিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে আমি মনে করি এটা অবিচার হচ্ছে। আমি সব সময় বলে আসছি, যদি পেছনের দিকে তাকান, র্যাব কখন তৈরি হয়েছিল... যারা র্যাব তৈরি করেছিল তারাই এখন র্যাবকে অপছন্দ করছে, নানা ধরনের অপপ্রচার করছে।
তিনি বলেন, র্যাব যে ভালো কাজ করছে সেগুলো তারা তুলে ধরছে না। র্যাব যে মাদকের বিরুদ্ধে, ভেজাল দ্রব্য নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করছে, সুন্দরবন দস্যুমুক্ত করল, চরমপন্থিদের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যাচ্ছে, তারা সব সময় জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনের জন্য কাজ করছে- সেসব কথা তারা কখনো তুলে ধরে না। তারা নানা ধরনের মানবাধিকারের কথা বলে।
র্যাব ভালো কাজ করছে। যারা র্যাব তৈরি করেছিল তারাই এর বিরোধিতা করছে। তাহলে কি বলা যায় র্যাব পলিটিক্যাল বিরোধিতার মুখে- এ বিষয়ে আসাদুজ্জামান খান বলেন, আপনারাই বিচার করবেন, আপনাদের কাছে প্রশ্ন রেখে গেলাম।
এআর/আইএসএইচ