আইপিটিভিতে সংবাদ প্রচার বন্ধের দাবি অ্যাটকোর, মন্ত্রীর আশ্বাস
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার অবাধ তথ্যপ্রবাহে বিশ্বাস করে। সে কারণেই তার হাত ধরে দেশে বেসরকারি টিভি চ্যানেলের যাত্রা শুরু করে আজ ৪৫টি টিভি লাইসেন্স পেয়েছে, দৈনিক পত্রিকা ৪৫০ থেকে ১৩ বছরে বেড়ে হয়েছে ১২৫০। তবে অনলাইন নিউজ পোর্টাল কত হাজার তা, পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিষয়।
বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকে বেসরকারি টেলিভিশন মালিকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স (অ্যাটকো) নেতৃবৃন্দ তাদের দাবিগুলো তুলে ধরেন। অ্যাটকোর সিনিয়র সহ-সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী এ সময় মন্ত্রীকে একটি স্মারকপত্র দেন।
ইকবাল সোবহান বলেন, অ্যাটকোর দাবি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে ভিডিও সংবাদ প্রচারে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নেওয়ার বিধান করা। এছাড়া আইপিটিভিতে সংবাদ প্রচার এবং ইউটিউবের মাধ্যমে পত্রিকার সংবাদ প্রচার বন্ধ করা।
তথ্যমন্ত্রী অ্যাটকোর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বলেন, সম্প্রচার নীতিমালা অনুযায়ী কোনো আইপি টিভি সংবাদ প্রচার করতে পারে না। এছাড়া ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে, এগুলো সম্প্রচার নীতিমালার পরিপন্থি। আপনাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। একইসঙ্গে যেসব সংবাদপত্র ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে সংবাদ প্রচার করছে, তাদের সেটার কোনো অনুমতি নেই। অনুমোদনহীন কিছু করা বেআইনি। আমরা সে ব্যাপারেও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
মন্ত্রী বলেন, আমরা চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে পত্রিকার অনলাইন ভার্সনগুলোকে অনুমোদন দিয়েছি। সেটিতে শর্ত ছিল প্রিন্ট আকারে যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়, সেটাই শুধু অনলাইনে যাবে। সেখানে ইউটিউব চ্যানেল জুড়ে দিয়ে সংবাদ প্রচার কিংবা টকশো করার কথা নয়। এগুলোর যেহেতু অনুমোদন নেই, আপনাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
অ্যাটকো পরিচালকদের মধ্যে এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান, বাংলাভিশনের আব্দুল হক, দীপ্ত টিভির কাজী জাহিদুল হাসান, সময় টিভির আহমেদ যোবায়ের, ডিবিসি নিউজের এম মঞ্জুরুল ইসলাম, নাগরিক টিভির নাভিদুল হক এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মিজান-উল-আলম এবং খাদিজা বেগম অংশ নেন।
এসএইচআর/এসকেডি