স্বাস্থ্যবিধি অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
যারা স্বাস্থ্যবিধি মানবে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় দিনে একটি অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ওমিক্রনের লাগাম টেনে ধরতে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। আতঙ্কিত হওয়ার কারণ না থাকলেও এটি আশঙ্কাজনক। আমরা জেলা প্রশাসকদের বলেছি, আপনারা গতবার যেভাবে করোনা নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করেছেন, এবারও সেটা করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়নের মূল হাতিয়ার আপনারা। আপনারা যেহেতু জেলার দায়িত্বে আছেন, সবাইকে নিয়ে কাজ করেন; স্থানীয় প্রতিনিধি যারা আছে, তাদের নিয়েও কাজ করুন। তদের নিয়ে কাজ করলে আপনাদের কাজ আরও ভালো হবে।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘বাসে, ট্রেনে, স্টিমারে যখন লোক চলবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে, মাস্ক পরতে হবে, সামাজিক দূরত্ব মানতে হবে। রাজনৈতিক ও সামাজিক অনুষ্ঠানে জনসমাগম বন্ধ রাখতে হবে। এ বিষয়গুলো আমরা তুলে ধরেছি। ল্যান্ড-পোর্ট, সি-পোর্টসহ বিভিন্ন পোর্ট যেন তারা ঠিকমতো দেখেন। যারা কোয়ারেন্টাইনে আছেন তারা অনেক সময় এটি ঠিক মতো মানেন না। এ বিষয়ে তাদের নজরদারি করতে বলেছি, যেন কোয়ারেন্টাইন ঠিক মতো হয়।’
‘দেশে মাদক বেড়েছে, এতে স্বাস্থ্যঝুঁকি হচ্ছে এ বিষয়েও তাদের নজরদারি বাড়াতে বলেছি। যারা স্বাস্থ্যবিধি মানবে না তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’
দেশকে অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে ভালো রাখতে হলে অবশ্যই করোনার লাগাম টেনে ধরতে হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা স্বাস্থ্য বিভাগ প্রস্তুত আছি। আগের তুলনায় অনেক ভালো অবস্থানে আছি। টেস্টের কোনো অভাব নেই, ৮০০ ল্যাব আছে। আমাদের কিট আছে, অক্সিজেনের অভাব নেই; প্রায় ৮৩০টি হাসপাতালে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর স্থাপন করা হয়েছে, যা আগে ছিল না। আমাদের মেডিসিনের ব্যবস্থা রয়েছে, ২০ হাজার বেড আছে। তাছাড়া ৪০ হাজারের মতো নতুন লোক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ১৫ হাজারের মতো ডাক্তার ও ২০ হাজার নার্স রয়েছে। সার্বিক বিষয়ে প্রস্তুতি ভালো।’
টিকা কার্যক্রমে জেলা প্রশাসকদের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘টিকা কার্যক্রমেও তারা সহযোগিতা করছে, করবে। আমরা ১২ কোটি মানুষকে টিকার ডাবল ডোজ দিতে চাই। আমাদের হাতে এখন ৯ কোটি টিকা আছে, যেটা অনেক দেশের নেই। বুস্টার ডোজ নিয়েও আমাদের আলোচনা হয়েছে।’
মাস খানেকের মধ্যে দেশের স্কুল শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১ কোটি ২৫ লাখ টিকা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
জেলা প্রশাসকদের পক্ষ থেকে জেলা পর্যায়ে হাসপাতাল চাওয়া হয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের একটা দাবি ছিল বিভিন্ন জেলা পর্যায়ে হাসপাতাল। গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৮টি হাসপাতালের উদ্বোধন করেছেন। সামনে এমন আরও হাসপাতাল করার পরিকল্পনা আমরা হাতে নিয়েছি।’
এসএইচআর/এনআই/জেডএস