নানক পরিচয়ে সিনিয়র সচিবকে ফোন দিয়ে গ্রেফতার
সরকারি দল আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে মো. তারেক সরকার নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগ।
মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে পল্টনের পলওয়েল সুপার মার্কেট এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের সময় তার কাছ থেকে প্রতারণায় ব্যবহৃত ডিভাইস ও সিমকার্ড জব্দ করে পুলিশ।
বুধবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ফারুক হোসেন।
তিনি বলেন, গত রোববার বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবের ফোনে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের পরিচয়ে একটি নম্বর থেকে কল করেন তারেক। তিনি একটি চাকরির বিষয়ে সিনিয়র সচিবকে জোর সুপারিশ করেন। সন্দেহ হলে সিনিয়র সচিব ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান।
ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ডিবি মিরপুর ওই ফোন নম্বরের খোঁজ নিয়ে জানতে পারে যে, নম্বরটি জাহাঙ্গীর কবির নানকের নয়; এটি এক প্রতারকের। তিনি নানকের মিথ্যা পরিচয় দিয়ে তার রাজনৈতিক ও সামাজিক সুনাম ক্ষুণ্ণ করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার চেষ্টা করছেন।
তিনি বলেন, তারেক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবিকে জানান, তিনি গত ২১ নভেম্বর নরসিংদী জেলার সদর থানা এলাকার ইনডেক্স প্লাজা মার্কেটে অবস্থিত এক্সচেঞ্জ গ্যালারি নামক দোকান থেকে অপো ব্র্যান্ডের একটি ফোন কেনেন। কেনার সময় ওই দোকান থেকে অন্যের নামে রেজিস্ট্রেশন করা রবি অপারেটরের সিমকার্ড নিয়ে যান। এ ফোন এবং রবি নম্বর ব্যবহার করে তিনি গত ১৬ জানুয়ারি বিকেলে নানকের নাম-পরিচয় ব্যবহার করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে কল করেন।
ডিবির এ কর্মকর্তা বলেন, তারেক নরসিংদী জেলা জাতীয়তাবাদী প্রচারদলের সদস্য সচিব। তিনি ২০০৬ সালে কারারক্ষী পদে নিয়োগ পান এবং ২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করার কারণে চাকরিচ্যুত হন। বর্তমানে তিনি প্রতারণার মাধ্যমে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার নাম ব্যবহার করে সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের কল দিয়ে তদবির বাণিজ্য করেন। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের মধ্যে নিয়োগ সংক্রান্ত বিভিন্ন কাগজ-পত্র (যেমন, অ্যাডমিট কার্ড, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, নিয়োগ প্রতি আর্থিক লেনদেনের হিসাব ইত্যাদি) পাওয়া গেছে।
এমএসি/আরএইচ