‘সুরসপ্তক’ আন্ডারপাসে চাঁদের আলো
রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল ও কলেজ সংলগ্ন আন্ডারপাস বুধবার (১২ জানুয়ারি) উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এটি উদ্বোধন করেছেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার ব্রিগেড এটি নির্মাণ করেছে।
২০১৮ সালের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের দাবিগুলোর একটি ছিল এই আন্ডারপাস তৈরি করা। এই আন্ডারপাস দিয়ে চলতে চলতে দিনের আলো দেখা যাবে, দেখা যাবে রাতের আকাশের চাঁদের আলোও। দেশের সবচেয়ে বড় এই আন্ডারপাস দেখে পথচারী রিয়াসত আলী বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা পোস্টকে বলেন, চমৎকার একটি আন্ডারপাস আমরা পেলাম।
সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের ঢাকা সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামীম আল মামুন ঢাকা পোস্টকে বলেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রায় ৫৭ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নে সওজ অধিদফতর তত্ত্বাবধান করেছে। এই আন্ডারপাস দিয়ে এখন পথচারীরা চলাচল করতে পারবেন।
জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের সামনের সড়কে বাসচাপায় শিক্ষার্থী আবদুল করিম রাজীব (১৭) ও দিয়া খানম মীম (১৬) –এই দুই শিক্ষার্থীর প্রাণহানি ঘটেছিল। সেদিন থেকে আট দিন রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে নিরাপদ সড়কের দাবিতে ছাত্রছাত্রীরা আন্দোলন করে। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে এই আন্ডারপাস নির্মাণের দাবিটি ছিল। এই দাবি এবার পূরণ হয়েছে।
জানা গেছে, দেশের সবচেয়ে বড় ও আধুনিক আন্ডারপাস এটি। তার নাম ‘সুরসপ্তক’। রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের এমইএস মোড়ে এটির অবস্থান। আন্ডারপাস নির্মাণ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার ব্রিগেড। ২০১৮ সালের ২৯ জুলাইয়ে দুই শিক্ষার্থীর প্রাণহানির পর ওই বছরের ১২ আগস্ট এই আন্ডারপাস তৈরির জন্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছিল।
গত কয়েকদিন ঘুরে দেখা গেছে, ৪২ মিটার দীর্ঘ চারটি সুড়ঙ্গ দিয়েই আন্ডারপাসে চলাচল করা যাবে। এটির উচ্চতা ১৫ মিটার। এক সারিতে ১০ জন পথচারী হেঁটে চলাচল করতে পারবেন। এই আন্ডাপাসে থাকছে এস্কেবেটর ও লিফট। আন্ডারপাসের ভেতর দিনে সূর্যের আলো ও রাতে চাঁদের আলো ঢুকছে। এই আন্ডারপাসের দুই দিকে দুটো করে দুই দিকে চারটি প্রবেশ ও বহির্গমন পথ আছে।
২০১৮ সালে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন চলাকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই আন্ডারপাস নির্মাণের নির্দেশ দেন। আন্ডারপাসটি উদ্বোধন করার পর তা সর্ব সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। এই আন্ডারপাস চালুর ফলে বিমানবন্দর সড়কসংলগ্ন বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ সর্ব সাধারণের জন্য সড়ক পারাপার আরও নিরাপদ হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
পিএসডি/এইচকে