রাজধানীতে আইসিটি ক্লাবের যাত্রা শুরু
রাজধানীতে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেওয়ার পাশাপাশি শক্তিশালী নেটওয়ার্কিং গড়ে তোলার লক্ষ্যে আইসিটি ক্লাবের যাত্রা শুরু হয়েছে। রাজধানীর বাংলামোটরে সোনার তরী টাওয়ারে এই ক্লাবের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে ক্লাবটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পলক বলেন, আইসিটি ক্লাবে শুধু নতুন নতুন উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতা নিয়ে আলোচনা নয়, তথ্যপ্রযুক্তিতে নেতৃত্ব গড়ে উঠবে। একজন উদ্যোক্তা আরেকজনের সঙ্গে নলেজ শেয়ারিংসহ বিভিন্নভাবে কাজ করার সুযোগ পাবেন।
আইসিটি ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে একাডেমিসহ আইসিটি খাতের সাথে সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়ের কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করে পলক বলেন, তরুণ উদ্যোক্তারা এই ক্লাব থেকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা পাবেন। তারা এখান থেকে অনেক কিছু শিখতে পারবেন। নিজেদের গুছিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবেন। এ ধরনের ক্লাবকে কাজে লাগাতে হবে তরুণদের। মনে রাখতে হবে তথ্যপ্রযুক্তির কোনো বিকল্প নেই, এটাকে সব সময় গুরুত্ব দিতে হবে।
বাংলাদেশকে অন্ধকারাচ্ছন্ন রাষ্ট্রে পরিণত করতে একটি গোষ্ঠী এখনো তৎপর বলে উল্লেখ করে পলক বলেন, বঙ্গবন্ধুর সাংস্কৃতিক বিপ্লবে আইসিটি ক্লাব অনন্য ভূমিকা পালন করবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন এক বাংলাদেশ গড়ে ওঠবে এই প্রত্যাশা সব সময় করি।
তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে জ্ঞানভিত্তিক প্রযুক্তি নির্ভর বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করছেন। আগামী দিনে শুধু উৎপাদনেই নয়, প্রযুক্তি পণ্য রপ্তানিতে এগিয়ে থাকবে বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে আমাদের কাজ শুরু হয়ে গেছে। অনেক কাজ এগিয়েও গেছে। তাই নেতিবাচক চিন্তা না করে ইতিবাচকভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
পলক বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সবাইকে একটি প্লাটফর্মে নিয়ে আসার লক্ষ্যে আইসিটি ক্লাব দেশের সব হাই-টেক পার্কে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। যেন এর সুবিধা সবাই পান। বিশেষ করে তরুণেরা তাদের নিজেদের জ্ঞান অর্জনের জন্যে ভালো প্লাটফর্ম হিসেবে এ ক্লাবকে ব্যবহার করতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে আইসিটি ক্লাবের সভাপতি মোজ্জামেল বাবু ও বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি শহীদ উল মুনীরসহ অনেকেই বক্তব্য রাখেন। এ সময়ে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বেসিস, ইক্যাব, বাক্কো, বিসিএসসহ প্রযুক্তি সংগঠনের শীর্ষ নেতারা।
একে/ওএফ