এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে
২০২২ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে অনুষ্ঠিত হবে। তবে সব বিষয়ে এমন হবে কি না তা পরিস্থিতি অনুযায়ী বলা যাবে। সে অনুযায়ী পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি।
সোমবার (১০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
তিনি বলেন, আমরা পরীক্ষাগুলো (এসএসসি-এইচএসসি) নিতে চাই। সময়মতো হবে না এটা খুবই স্বাভাবিক। কারণ শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো ক্লাস করতে পারেনি। আমরা একটা আভাস দিয়েছি বছরের মাঝামাঝি সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা নেওয়ার। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে তারিখ নির্দিষ্ট করে বলতে পারছি না। যদি পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে আশা করছি পরীক্ষার তারিখ দুই-তিন মাস আগে বলতে পারব। আর পরিস্থিতি স্বাভাবিক না থাকলে সময় পেছাবে। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে শিক্ষা বোর্ড, শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তাই কেউ গুজবে কান দেবেন না।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকা প্রসঙ্গে ডা. দীপু মনি বলেন, আপাতত আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করছি না। আমরা এ মাসের মধ্যেই সব শিক্ষার্থীর টিকার প্রথম ডোজ সম্পন্ন করব। এটি কীভাবে করা যায় তা নিয়ে আগামীকাল আবার বৈঠক করব। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে পরামর্শক কমিটির সঙ্গে আগামী সপ্তাহে আবার বৈঠক করব। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে শিক্ষার্থীদের সশরীরে ক্লাসে পাঠদান চলছে এবং এটি ধারাবাহিকভাবে চলবে।
বুটেক্স শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বুটেক্স বন্ধের মতো পরিস্থিতি তৈরি হলে বন্ধ করে দেওয়া হবে। শিক্ষার্থীরা এখন অনলাইন ক্লাসের দাবি জানাচ্ছেন, কিছুদিন আগে তারা সশরীরে ক্লাসের দাবি জানিয়েছেন। শিক্ষার্থীরা দাবি জানাতেই পারেন। তবে সে দাবি যৌক্তিক হতে হবে। আশা করছি, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উভয় পক্ষই যৌক্তিক আচরণ করবেন।
শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী মোট শিক্ষার্থী ১ কোটি ১৬ লাখ ২৩ হাজার ৩২২ জন। তাদের মধ্যে টিকা পেয়েছে ৪০ লাখ ৩২ হাজার ৫৬৯ জন। শতকরা ৩৫ শতাংশ শিক্ষার্থী টিকার আওতায় এসেছে। টিকা নেওয়া বাকি আছে ৭৫ লাখ ৯০ হাজার ৭৫৩ জনের।
তিনি জানান, জানুয়ারির মধ্যে শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শেষ করার চেষ্টা চলছে। ৩৯৭ উপজেলায় ১৫ জানুয়ারির মধ্যে, ৩ উপজেলায় ১৭ জানুয়ারি, ৫৬ উপজেলায় ২০ জানুয়ারি, ১৫ উপজেলায় ২২ জানুয়ারি, ৩৫ উপজেলায় ২৫ জানুয়ারি এবং ১১ উপজেলায় ৩১ জানুয়ারির মধ্যে টিকাদান সম্পন্ন করতে হবে।
এএজে/এসকেডি/জেএস