আফসোস স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ অতিমাত্রায় বাড়তে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এ অবস্থায় তিনি আফসোস করে বলেন, ‘আমরা আগেই বলেছিলাম স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, মাস্ক পরতে হবে; কেউ এসব বিষয়ে কর্ণপাত করেনি’।
রোববার (৯ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে দেশের আট বিভাগীয় শহরে ৪৬০ শয্যা বিশিষ্ট সমন্বিত ক্যানসার, কিডনি ও হৃদরোগ ইউনিটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বলেছিলাম গণজমায়েত কমাতে হবে, সামাজিক অনুষ্ঠানগুলো স্বাস্থ্য বিধি অনুযায়ী করতে হবে। কিন্তু আফসোসের বিষয়, কেউ এসব বিষয়ে কর্ণপাত করেনি। যার ফলে দেশে সংক্রমণের হার বাড়ছে। একইসঙ্গে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন দেশে সংক্রমণের হার বাড়ছে। গতকালও দেশের সংক্রমণের হার ৬ শতাংশের কাছাকাছি ছিল। যখন থেকে সংক্রমণ বাড়া শুরু হয়েছে, তখন থেকেই আমরা সতর্কতামূলক প্রচার করে যাচ্ছি।
এ অবস্থায় করণীয় প্রসঙ্গে জাহিদ মালেক বলেন, ইতোমধ্যে সরকারিভাবে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে আজ অথবা কালের মধ্যেই একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। এর মাধ্যমে পূর্বে যে নির্দেশনাগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছিল, সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য সারা দেশে বার্তা চলে যাবে। আমরা কেবিনেট থেকে জানতে পেরেছি এর কার্যকারিতাও খুব শিগগিরই শুরু হয়ে যাবে।
‘কিন্তু আমরা যতই নির্দেশনা পাঠাই না কেন, জনগণের ওপর নির্ভর করবে এর ফলাফল। কাজেই নিজেদেরই সচেতন হতে হবে। শিশুরা সংক্রমিত হচ্ছে, এমনকি বয়স্করাও সংক্রমিত হচ্ছে। সংক্রমণ মোকাবিলায় আমাদের দায়িত্বশীল হতে হবে’, যোগ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, যদি সংক্রমণ এভাবে বাড়তে থাকে তাহলে সরকারকে কঠোর ভূমিকা নিতে হবে। আর এই মুহূর্তে সংক্রমণের যে লক্ষণ আমরা দেখছি, সংক্রমণ অতিমাত্রায়, অতি দ্রুত বাড়ছে।
মন্ত্রী উল্লেখ করেন, গত এক সপ্তাহ আগেও দেশে দৈনিক দুই থেকে আড়াইশ মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এখন সংক্রমণ প্রায় ৬ শতাংশের কাছাকাছি। রোগীর সংখ্যাও আড়াইশ থেকে বেড়ে গিয়ে এগারোশ’র ওপরে চলে এসেছে। এটা আমাদের জন্য খুবই আশঙ্কাজনক। আমাদের সকলকেই সচেতন হতে হবে।
এর আগে অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, সমন্বিত ক্যানসার, কিডনি ও হৃদরোগ ইউনিট স্থাপিত হলে মানুষ সব বিভাগীয় শহরে বিশেষায়িত এসব সেবা পাবেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক ভিসি ও সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, বিএসএমএমইউ ভিসি অধ্যাপক মো. ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম প্রমুখ।
টিআই/এমএইচএস/জেএস