প্রধানমন্ত্রী সব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ : পরিকল্পনামন্ত্রী
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, দেশের উন্নয়নে আমি অনেক পরিশ্রম করে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাজ করছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী সব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। করোনাকে তিনি মোকাবিলা করেছেন, তাতে বিশ্ব নেতারা স্বীকৃতি দিয়েছেন।
তিনি বলেন, জীবন রক্ষায়, স্বাস্থ্যখাতে আমাদের প্রধানমন্ত্রী চমৎকার অর্জন করেছেন। এটি আমার কথা নয়। এটি বৈশ্বিকভাবে স্বীকৃত। সবার প্রতি অনুরোধ, আমাদের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে। দেশের উন্নয়ন চাইলে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।
শনিবার রাজধানীর আইইবি’র (ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ) কাউন্সিল হলে কৃষিজের টেকসই উন্নয়নে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ী প্রযুক্তির ব্যবহার শীর্ষক নেটওয়ার্কিং কনফারেন্স ও প্রযুক্তির প্রদর্শনীর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা ক্ষুধাটাকে মোকাবিলা করতে পেরেছি। বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য ও খাদ্য খাতে অনেক উন্নয়ন করেছি। মোটা দাগে আমরা এসব খাতে অনেক পরিবর্তন করতে পেরেছি। শেখ হাসিনার একটানা ১২ থেকে ১৩ বছর কাজ করার ফলে ত্রুটিগুলোকে ছাপিয়ে বেশি অর্জন করতে পেরেছি। মাথাপিছু আয় বেশি, প্রবৃদ্ধি বেশি, জীবনযাত্রার মান বেশি।
তিনি বলেন, আমি কৃষকের সন্তান। নানাভাবে আমরা কৃষির সঙ্গে জড়িত। কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে কাজ করে যাব সবসময়। সততার মধ্য দিয়ে আমি আমার দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করি। সবার জন্য যা মঙ্গলজনক হবে, শেষ পর্যন্ত আমি তাই করব।
এম এ মান্নান বলেন, আমরা বিভিন্ন পেশায় কাজ করছি। সবাই নানা পেশায় দক্ষ। সংশ্লিষ্ট মানুষকে সংশ্লিষ্ট কাজে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। যেমন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন ড. শামসুল আলম। তিনি সিনিয়র সচিব ছিলেন। এতে আমার মনে হয় অনেক ভালো হয়েছে। সব বিষয়ে একই ব্যক্তিরা কর্তৃত্ববাদী হবেন এটি ঠিক নয়।
তিনি বলেন, ঔপনিবেশিক প্রভুরা রাজত্ব টিকিয়ে রাখতে কর্তৃত্ববাদী আইন করে গেছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরও সেসব আইন এখনো রয়েছে। অনেকে এ আইনের অপব্যবহার করছে। গণতান্ত্রিক দেশে কর্তৃত্ববাদ চলতে পারে না।
তিনি বলেন, কর্তৃত্ব তারাই করে যারা কর্তা। ঠাকুর, পীর-ফকির বা অন্য কোনো কর্তা- যাদের হাতে কেতাব থাকে তারাই কর্তৃত্ববাদী হয়। আইনের প্রয়োগ আমলারা করে। ঔপনিবেশিক প্রভুরা যেহেতু সেসব আইন বিলুপ্ত করে যায়নি, এগুলো এখন আমাদের কাজ।
তিনি আরও বলেন, তাদের সময় সংসদ ছিল না। তাই তারা যেটা বলত, লিখত সেটাই আইন হয়ে যেত। তারা চাইলেই আইন বিলুপ্ত ও তৈরি করতে পারত। কিন্তু এখন দেশে আইন আছে, সংবিধান আছে আমরা চাইলেই এগুলো পরিবর্তন করতে পারব না। আমাদের মহান সংসদের মাধ্যমে এগুলো পরিবর্তন করতে হবে। আমার বিশ্বাস দল ও সরকার চায় এগুলো বিলুপ্ত করতে।
আইইবি’র প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী নুরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আইইবি’র সেক্রেটারি প্রকৌশলী মো. মিছবাহুজ্জামান চন্দন, আইইবি’র ভাইস-প্রেসিডেন্ট (অ্যাডমিন অ্যান্ড ফিন্যান্স) প্রকৌশলী খন্দকার মঞ্জুর মোর্শেদ প্রমুখ।
এসআর/আরএইচ