টিকা না নিলে স্কুলে যেতে পারবে না শিক্ষার্থীরা
১২ বছরের বেশি বয়সের শিক্ষার্থীরা অন্তত এক ডোজ টিকা না নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে পারবে না বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
ভিডিও কনফারেন্সে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা বৈঠকে যোগ দেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রীতো আপনাদের বলেছেন, ভ্যাকসিন না নিলে তারা (শিক্ষার্থী) স্কুলে যেতে পারবে না। প্রথম ডোজ না নিলে সে স্কুলে যেতে পারবে না।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ১২ বছরের নিচে এখনও টিকার কাউন্টে আসেনি। সেজন্য ১২ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেই এটি প্রযোজ্য।
এ সিদ্ধান্ত কি এখন থেকেই কার্যকর- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘জি, স্কুলে যেতে পারবে না।’
এটা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আহ্বান উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘তারা বলে দিয়েছে ভ্যাকসিন যে শিক্ষার্থী নেবে না তারা স্কুলে আসতে পারবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা তারা বলেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ের তো আলাদা অথরীটি।’
দেশে কি সব শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা আছে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আছে। শিক্ষার্থীদের মোটিভেটও (ভ্যাকসিন নেওয়ার বিষয়ে) করতে বলা হয়েছে।’
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘বাচ্চাদের বলা হয়েছেও, তাদের নিবন্ধনের জন্য অপেক্ষা করারও দরকার নাই। তারা বার্থ সার্টিফিকেট নিয়ে গেলেই ভ্যাকসিন পেয়ে যাবে।’
কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয় এখনও এ ধরনের নির্দেশনা দেয়নি- এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘দেওয়া হয়েছে, তারা করবে। গত ৩ তারিখের মিটিংয়েই তারা এটা এনসিউর করেছে। ইতোমধ্যে তারা মৌখিকভাবে নির্দেশনাও দিয়েছে।’
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, লকডাউন নিয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে কোন ধরনের আলোচনা হয়নি। যদি সংক্রমণ আরেকটু বাড়ে তখন গণপরিবহনে ৫০ ভাগ যাত্রী নিয়ে চলার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হবে বলেও এসময় জানান তিনি।
এসএইচআর/এসএম