মাদরাসার ২ বিঘা জমি বিক্রি করে যুবলীগ নেতা
রাজশাহীর পবা উপজেলার পারিলা এলাকার একটি মাদরাসার জমি বিক্রি করেছেন স্থানীয় যুবলীগ নেতা আসলাম সরকার। বিক্রি করা ওই জমির দলিল মূল্য ৫১ লাখ টাকা হলেও এর প্রকৃত মূল্য ২ কোটি টাকার বেশি হতে পারে বলে স্থানীরা মনে করছেন।
সোমবার (৪ জানুয়ারি) দুদকের রাজশাহী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আমীর হোসেনের নেতৃত্বে এক অভিযানে এসব তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায়। অভিযানের বিষয়টি দুদকের জনসংযোগ দফতর সূত্রে জানা যায়।
দুদক জানায়, স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে মাদরাসার জমি অবৈধভাবে বিক্রির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক টিম সরেজমিনে ওই মাদরাসা পরিদর্শন করে এবং অভিযোগ সংশ্লিষ্ট নথিপত্র সংগ্রহ করে। টিম অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে।
ভুয়া কমিটি করে মাদরাসা ও কবরস্থানের জমি অন্যের নামে দলিল করা হয়েছিল। পরে এলাকাবাসী ও স্থায়ী জনপ্রতিনিধির চাপে তা মাদরাসার নামে পুনরায় দলিল করে ফেরত দেওয়া হয়েছে। অভিযানের বিষয়ে সুপারিশসহ বিস্তারিত প্রতিবেদন পরবর্তী সময়ে কমিশনে দাখিল করবে দুদক এনফোর্সমেন্ট টিম।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দুই বিঘার বেশি ওই জমিটি ছিল স্থানীয় দাখিল মাদরাসার নামে। পারিলা ইউনিয়নে যুবলীগের সাবেক এক নেতা ২০০৯ সালে দুই বছর জন্য মাদরাসা কমিটির সভাপতি হন। এরপর আর নতুন কমিটি হয়নি। ২০১৫ সাল থেকে এই মাদরাসার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, এই সুযোগে যুবলীগের সাবেক সভাপতি আসলাম সরকার গোপনে কমিটির পক্ষ হয়ে মাদরাসার ওই জমি একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে দেন। খবর জানাজানি হলে এলাকাবাসী বিক্ষোভ সমাবেশও করে।
অন্যদিকে সাভারে অবস্থিত বিশ্বাস গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে তিতাসের গ্যাস সংযোগ ব্যবহার করার অভিযোগের দুদকের ঢাকা-১ এর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক হুমায়ুন কবিরের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয় গতকাল। তিতাস গ্যাসের সাভার অঞ্চলের ম্যানেজারসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এনফোর্সমেন্ট টিম সরেজমিনে এ অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানে জানা যায়, উক্ত প্রতিষ্ঠানের গ্যাস সংযোগটি গত ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে থেকে প্রায় ৬ কোটি টাকা বকেয়া বিলের জন্য বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিতাস কর্তৃপক্ষ বকেয়া বিল ও অবৈধ সংযোগের জন্য দুটি আলাদা মামলা করে। কিন্তু গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষ সিলগালা করা সংযোগ থেকে অবৈধভাবে নতুন সংযোগ স্থাপন করে ব্যবহার করছিল। অভিযানকালে তাৎক্ষণিকভাবে মিটার রুমের যাবতীয় সংযোগ লাইনসহ মূল লাইনটি বিচ্ছিন্ন করে সিলগালা করে দেওয়া হয়।
আরএম/এমএইচএস