নাগরিক সেবা নিশ্চিতে কাজ করছি : মেয়র তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন এলাকায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ বসবাস করেন। তাদের সেবা নিশ্চিতে আমরা কাজ করে চলেছি।
বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) নগরীর ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির মিলনায়তনে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় দক্ষিণ সিটির ১৪ ও ২২ নম্বর ওয়ার্ডের উপকারভোগীদের ক্ষুদ্র ব্যবসা ও শিক্ষা অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৭৫টি ওয়ার্ডে যেসব প্রান্তিক জনগোষ্ঠী আছেন, তাদের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন ও স্বাবলম্বী করতে ব্যবসায়িকভাবে সহযোগিতার জন্য তাদের সন্তানদের শিক্ষা প্রসারের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই কর্মসূচির অনুমোদন দিয়েছেন।
তাপস বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন মমতাময়ী নারী। মায়ের মমতায় তিনি বাংলাদেশকে আগলে রেখেছেন। তিনি সকল নারীর অন্তরের কষ্ট, অন্তরের হাহাকার উপলব্ধি করতে পারেন। এ জন্যই ঢাকা শহরে বসবাসকারীদের মধ্যে যারা দরিদ্র, যারা নিম্ন আয়ের ও প্রান্তিক তাদেরকে সহযোগিতার জন্য তিনি এই কর্মসূচি দিয়েছেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এই কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এই কর্মসূচিতে নারী ক্ষমাতায়নকে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এই কর্মসূচির সকল কার্যক্রমই নারীদের উন্নয়নের লক্ষ্যে।
শুধুমাত্র ঢাকাবাসীর উন্নয়নের জন্য এই কর্মসূচি উল্লেখ করে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, আমরা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেব আমাদের ভোটারদের প্রতি, আমাদের এলাকার জনগণের প্রতি। প্রকল্পের আওতায় যে সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে তারা যেন ঢাকাবাসীর হয়, সেটা আমরা নিশ্চিত করব। আমাদের সিডিসি ক্লাস্টার প্রতিনিধিরা ও আমাদের কাউন্সিলররা সেটা নিশ্চিত করবেন।
প্রকল্পের বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রায় ৮৮ হাজার দরিদ্র লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে চাই। ৪ হাজার ৯৩৬টি কমিউনিটি হিসেবে ৪৫ হাজার ৫০০ পরিবারকে সহযোগিতা করতে চাই। ৬০ হাজার পরিবারের ভাগ্য উন্নয়নের লক্ষ্যে আমরা কাজ করতে চাই। সুতরাং এই প্রকল্প যদি সফল হয় তাহলে প্রধানমন্ত্রী আরও বৃহদাকারে এ ধরনের প্রকল্প অনুমোদন দেবেন। তাই প্রকল্প বাস্তবায়ন আমাদেরকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে এককালীন ১০ হাজার টাকা করে ১০৮ জন ব্যক্তির মাঝে এককালীন ব্যবসায়িক অনুদান এবং শিক্ষা অনুদান হিসেবে প্রতিজন শিক্ষার্থীকে ৯ হাজার টাকার অর্ধেক সাড়ে চার হাজার টাকা করে ৪৮ জন শিক্ষার্থীর মাঝে বিতরণ করা হয়। শিক্ষার্থীদের শিক্ষা অনুদানের বাকি সাড়ে চার হাজার টাকা আগামী মাসে প্রদান করা হবে বলে প্রকল্প সূত্রে জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মনিরুল ইসলাম মনু, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর সিতওয়াত নাঈম, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন প্রমুখ।
এএসএস/ওএফ