আন্দোলন নিয়ে ফোনালাপ: আমীর খসরুর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
২০১৮ সালে নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় নওমী নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে ‘ফোনালাপ’–এর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।
অভিযোগপত্রে আমীর খসরুর সাথে টেলিফোনে কথা বলা সাবেক ছাত্রদল নেতা ব্যারিস্টার মিলহানুর রহমান নাওমীকেও আসামি করা হয়েছে।
বুধবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের এসআই সঞ্জয় গুহ চট্টগ্রাম আদালতের প্রসিকিউশন শাখায় অভিযোগপত্রটি জমা দেন।
আজ (বৃহস্পতিবার) ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের উপ-কমিশনার ফারুক উল হক।
তিনি বলেন, টেলিফোনের কথোপকথন ফাঁসের ঘটনায় চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই মামলায় বুধবার বিকেলে আদালত আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও মিলনাহুর রহমান নওমীকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। বিশেষ ক্ষমতা আইনে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ের করা অভিযোগে তথ্যগত ভুল ছিল বলে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।
২০১৮ সালের ২৯ জুলাই ঢাকার বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়। এরপর নিরাপদ সড়কের দাবিতে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে। আন্দোলনের মধ্যে আমীর খসরুর মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে কুমিল্লায় অবস্থানরত তৎকালীন ছাত্রদল নেতা মিলহানুর রহমান নাওমীর টেলিফোনে একটি কথোপকথন ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে আমীর খসরু ওই ছাত্রদল নেতাকে আন্দোলনে নেমে পড়তে বলেছিলেন। ওই ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর ২০১৮ সালে ৪ আগস্ট চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানায় মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর বাদী হয়ে আমীর খসরুকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
মামলায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ (২) ধারা ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫ (৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়। মামলায় জাকারিয়া দস্তগীর দাবি করেন, আমীর খসরুর উসকানির জেরে নিরাপদ সড়কের আন্দোলনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।
কেএম/এনএফ