ঢাকায় বার্ষিক মাথাপিছু প্লাস্টিকের ব্যবহার ২৪ কেজি
দেশে গ্রামের চেয়ে রাজধানীতে প্লাস্টিক ব্যবহার বেশি হচ্ছে। যা সবুজ টেকসই ব্যবস্থাপনা অর্জনে বড় বাধা। সোমবার বিশ্বব্যাংক থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিশ্বব্যাংক জানায়, টেকসই প্লাস্টিক ব্যবস্থাপনা বাংলাদেশের জন্য সবুজ প্রবৃদ্ধি অর্জনের মূল চাবিকাঠি। কিন্তু প্রতিনিয়তই দেশে প্লাস্টিক ব্যবহার বাড়ছে। ঢাকার বাইরের শহরাঞ্চলে বার্ষিক মাথাপিছু প্লাস্টিক ব্যবহার ২০০৫ সালে ছিল ৩ কেজি। ২০২০ সালে যা তিনগুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ কেজি।
অন্যদিকে, ঢাকায় বার্ষিক মাথাপিছু প্লাস্টিকের ব্যবহার ২৪ কেজি, যা জাতীয় গড় থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। করোনা সংকট প্লাস্টিক দূষণকে আরও খারাপ করেছে। মাস্ক, গ্লোভসসহ অন্যান্য ব্যক্তিগত সুরক্ষাসামগ্রীতে প্লাস্টিকের ব্যবহার হচ্ছে। প্লাস্টিক বর্জ্যের একটি বড় অংশ জলাশয় ও নদীতেও ফেলা হচ্ছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ড্যান ড্যান চেন জানান, নগরায়নের ফলে বাংলাদেশে প্লাস্টিক ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে। ফলে দূষণও তীব্রভাবে বাড়ছে। করোনা সংকট প্লাস্টিক বর্জ্যের সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এজন্য টেকসই প্লাস্টিক ব্যবস্থাপনা জরুরি। একটি পণ্য ডিজাইন করা থেকে শুরু করে, প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানো, পুনর্ব্যবহার করা, দেশের সবুজ প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে।
তিনি বলেন, প্লাস্টিক দূষণ রোধে জাতীয় কর্মপরিকল্পনায় ২০২৫ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহার করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপাদন ৩০ শতাংশ কমানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সঠিক সময়ে কর্মপরিকল্পনার বাস্তবায়ন করতে হবে। তা না হলে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি অর্জন বাধাগ্রস্ত হবে।
এসআর/আরএইচ