১১ কোটি টাকা লোপাট, ওয়ান ব্যাংকের ৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা
প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ইনস্যুরেন্স কোম্পানির সাড়ে ১১ কোটি টাকা স্থানান্তর এবং আত্মসাতের অভিযোগে ওয়ান ব্যাংক লিমিটেডের সাত কর্মকর্তাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এর উপপরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আসামিরা হলেন- ওয়ান ব্যাংক লিমিটেডের ফার্স্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট শফিউল আলম, সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট বিমলেন্দু চৗধুরী, অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড রিলেশনশিপ ম্যানেজার মুনতাসির রহমান সিদ্দিকী, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ফয়সাল আদিল, জুনিয়র অফিসার মো. শামিম, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার আবু কালাম মোহাম্মদ সাখাওয়াৎ হোসেন ওরফে একেএম সাখাওয়াত হোসেন, প্রিন্সিপাল অফিসার মো. এমরান হোসেন ওরফে মোহাম্মদ এমরান হোসেন, ব্যাংকের গ্রাহক আজিজুর রহমান, রাকিবা জাহান, তানভীর হোসেন, পেশোয়ারা বেগম ও সুবু তারা হাওলাদার।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ২০১৯ সালের ৫ মার্চ থেকে চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির আশ্রয়ে চারটি ইনস্যুরেন্স কোম্পানির (পাইওনিয়ার ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, প্রভাতি ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, প্রেস ইনস্যুরেন্স লিমিটেড ও সিটি জেনারেল ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড) ভিন্ন ভিন্ন হিসাবসহ অন্যান্য ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ওয়ান ব্যাংক লিমিটেডের গুলশান শাখার ব্যাংক হিসাবে অবৈধ প্রক্রিয়ায় ১১ কোটি ৪০ লাখ ২৩ হাজার ৯২১ টাকা স্থানান্তরের মাধ্যমে জমা করে। পরবর্তীতে তা বিভিন্ন কৌশলে উত্তোলনের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন আসামিরা। যা দণ্ডবিধির ৪২০/৪০৯/৪৬৭/৪৬৮/৪৬৯/৪৭১/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আসামিরা অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে অর্জিত আয়ের উৎস গোপনের জন্য ওই টাকা স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তরের কারণে মামলা দায়ের করে দুদক।
আরএম/ওএফ