বিটিসিএলে ওয়ার্ক অর্ডার ছাড়াই কাজ, চেয়ারম্যানকে দুদকের চিঠি
ওয়ার্ক অর্ডার ছাড়াই বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) বিরুদ্ধে লাইন স্থাপন ও প্রতিস্থাপন কাজ করার মাধ্যমে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ডিজিএম ও অ্যাসিসট্যান্ট মানেজারসহ ঊর্ধ্বতন একটি চক্রের বিরুদ্ধে ওঠা এমন অভিযোগ খতিয়ে দেখতে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বরাবর চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সম্প্রতি দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো এক চিঠিতে ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রকল্পের বিটিসিএলের ইউটিলিটিগুলো প্রতিস্থাপন সংক্রান্ত টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। রোববার (১২ ডিসেম্বর) দুদকের জনসংযোগ দফতর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
অভিযোগের বিষয়ে দুদক সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২৩ জুলাই ইসিবি চত্বর থেকে মিরপুর পর্যন্ত সড়ক প্রশস্থকরণ ও উন্নয়ন এবং কালশী মোড়ে ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রকল্পে ডি এলাইনমেন্টের কালশী মোড় থেকে ২২তলা ভবন পর্যন্ত সড়কের মধ্যে বিদ্যমান বিটিসিএলের ইউটিলিটিগুলো প্রতিস্থাপন ও স্থাপন কাজে দরপত্র আহ্বান করা হয়। যেখানে ঠিকাদার কোম্পানি ৭৯ লাখ টাকা দর দেয়। অথচ প্রকল্পের প্রাক্কলন দর ধরা হয় ১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। যদিও এমন কাজ সংশ্লিষ্টদের ধারণা কিংবা ২০১৮ সালের পিডব্লিউডির শিডিউল অনুযায়ী এ কাজ ৫০ লাখ টাকায় শেষ করা সম্ভব।
কিন্তু অভিযোগ রয়েছে অফিসিয়ালভাবে কাজ দেওয়ার আগেই মোনেম নামের একটি ঠিকাদার কোম্পানি কাজ করে ফেলছে। সেক্ষেত্রে কোনো ওয়ার্ক অর্ডার পাওয়ার আগেই ওই ঠিকাদার কীভাবে কাজ করে? অভিযোগ রয়েছে, বিটিসিএলের ডিজিএম ও অ্যাসিসট্যান্ট ম্যানেজার জাহিদুল কাজ করিয়ে ওই প্রতিষ্ঠান প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এরপর কাজ রি-টেন্ডার করার নাটক সাজানো হয়েছে।
আরএম/জেডএস