সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি
ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জীবন-জীবিকা-সম্পদের নিরাপত্তায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়াসহ ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানিয়েছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন।
আজ (বৃহস্পতিবার) জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ দাবি জানানো হয়। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা ও মানবাধিকার’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে কমপক্ষে ১৫৮টি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ক্রমাগত কমছে। সাংবাদিক এবং স্বাস্থ্যখাতে জড়িত পেশাজীবীসহ চার শতাধিক ব্যক্তিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আটক করা হয়েছে। সম্প্রতি কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, ফেনী, চাঁদপুর, নোয়াখালী, রংপুর জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মন্দির, পূজামণ্ডপ, বসতি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে সাম্প্রদায়িক হামলা-নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা চলাকালে এমন হামলা-নিপীড়নের ঘটনা ইতোপূর্বে বাংলাদেশ প্রত্যক্ষ করেনি।
অনুষ্ঠানে বেশ কিছু দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর সংঘটিত প্রতিটি নিপীড়নের ঘটনার বিচার নিশ্চিতে যুগোপযোগী আইন প্রণয়নসহ সাংবিধানিক আদালত প্রতিষ্ঠা করতে হবে, সংঘটিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত-অনুসন্ধান প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হবে,
সনাতন ধর্মাবলম্বী তথা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধ সামাজিক ও মনস্তাত্ত্বিক কাঠামো তৈরির রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রক্রিয়া বন্ধ করতে হবে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ইউটিউবে প্রচারিত ও প্রকাশিত ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক কনটেন্ট প্রত্যাহার ও এই সব কন্টেন্ট প্রচার ও প্রকাশকারীদের আইনের আওতায় নিতে হবে।
আরও দাবি জানানো হয়, ধর্মীয় আলোচনার নামে ভিন্ন ধর্ম ও মতাবলম্বী এবং নারীদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষপ্রসূত বক্তব্য বন্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে, প্রতিটি ঘটনা নিয়ন্ত্রণের ব্যর্থতায় স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন রিসার্চ অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট অর্গানাইজেশনের চেয়ারম্যান চন্দন সরকার, হিউম্যান রাইটস ডেভলপমেন্ট সেন্টারের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুল হকসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
এই আলোচনা সভার আয়োজন করে রিসার্চ অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট অর্গানাইজেশন, হিউম্যান রাইটস ডেভেলপমেন্ট সেন্টার, হিউম্যান রাইটস অ্যালায়েন্স বাংলাদেশ, গ্লোবাল হিউম্যান রাইটস ডিফেন্স, বাংলাদেশ মাইনোরিটি রাইটস অ্যালায়েন্স, রিলিজিয়ন মাইনোরিটি ইন বাংলাদেশ।
এএসএস/এনএফ