তিস্তা নিয়ে শ্রিংলার কূটনৈতিক জবাব
বাংলাদেশ-ভারত নিয়ে কথা বলতে গেলেই সামনে আসে তিস্তা ইস্যুটি। তিস্তার ‘জট’ খোলা নিয়ে সবসময় গণমাধ্যমে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় দু’দেশের কর্মকর্তাদের।
সেই ধারাবাহিকতায় ঢাকা সফরে এসে তিস্তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলাকে। জবাবে তিনি সরাসরি তিস্তার কথা উল্লেখ না করে কূটনৈতিক কৌশলে বলেন, যত অমীমাংসিত সমস্যা আছে সবগুলোরই সমাধান হবে।
আজ (মঙ্গলবার) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা।
ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘সম্পর্কের সোনালী অধ্যায় পার করছে ভারত-বাংলাদেশ। অমীমাংসিত পুরোনো সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি আগামীর সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। পুরোনো যত অমীমাংসিত সমস্যা আছে সবগুলোরই সমাধান হবে। হতাশ হওয়ার কিছু নেই।’
শ্রিংলার পর গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বৈঠক নিয়ে ড. মোমেন বলেন, ‘আমরা মৈত্রী দিবস পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পালন করেছি। আমাদের বিজয় দিবসে ভারতের রাষ্ট্রপতি আসবেন, এগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের সোনালী অধ্যায় চলছে। বৈঠকে অনেকগুলো ইস্যু এসেছে, তারাও চায় না এমন কাজ হবে যাতে উভয় দেশের মধ্যে কোনো ধরনের ঝামেলা থাকে। আমরা আমাদের সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে চাই। উভয় দেশের কল্যাণে যা যা করার দরকার সেটা আমরা করবো।
সীমান্ত ইস্যুতে কথা বলতে গিয়ে মোমেন বলেন, ‘বর্ডার ইস্যু নিয়ে তারা নিজেরাই বলেছে, তারা এগুলোর ব্যাপারে আরও সতর্ক থাকবে। ছোট ছোট সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য আলোচনা করেছি, পানি নিয়ে কথা বলেছি। আমরা সামনের দিনের কথা ভাবছি। দু’দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত করে জনগণের জন্য আরও আরও কাজ করতে চাই।’
২৬ জানুয়ারি ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অংশ নেওয়ার বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে। প্রধানমন্ত্রী নয়া দিল্লি সফর করছেন কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, ‘এটা আমি বলতে পারব না। পরে জানতে পারবেন।’
ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের ঢাকা সফর নিয়ে আলোচনা করতে মঙ্গলবার সকালে ঢাকায় আসেন দেশটির পররাষ্ট্রসচিব। বিমানবন্দরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন তাকে স্বাগত জানায়। বুধবার (৮ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন শ্রিংলা। একই দিনে ভারতের পররাষ্ট্রসচিবের দেশে ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে।
এনআই/এনএফ