পদত্যাগপত্রে যা লিখেছেন ডা. মুরাদ
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পর দফতরে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান। বর্তমানে পত্রটি মন্ত্রণালয়ে সচিবের দফতরে আছে।
প্রধানমন্ত্রী বরাবর পাঠানো এই পদত্যাগপত্রে মুরাদ বলেন, ‘আমাকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। আমি অদ্য ৭ ডিসেম্বর থেকে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে ব্যক্তিগত কারণে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে ইচ্ছুক।’
‘এমতাবস্থায় আপনার নিকট বিনীত নিবেদন এই যে, আমাকে অদ্য ৭ ডিসেম্বর তারিখ থেকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের লক্ষ্যে পদত্যাগপত্রটি গ্রহণে আপনার একান্ত মর্জি কামনা করছি।’
পদত্যাগপত্রেও ভুল লিখেছেন মুরাদ। ২০১৯ সালে তাকে দায়িত্ব দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হলেও পত্রে তিনি ২০২১ উল্লেখ করেন।
এদিকে পদত্যাগ পত্র পাঠানোর পর পরই দেশবাসী ও মা-বোনদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে মুরাদ ক্ষমা চান।
ফেসবুকে দেওয়া ওই স্ট্যাটাসে মুরাদ বলেন, ‘আমি যদি কোন ভুল করে থাকি অথবা আমার কথায় মা-বোনদের মনে কষ্ট দিয়ে থাকি তাহলে আমাকে ক্ষমা করে দিবেন।’
‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মমতাময়ী মা দেশরত্ন বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সকল সিদ্ধান্ত মেনে নিবো আজীবন। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু ’।
মঙ্গলবার মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান। বর্তমানে পত্রটি মন্ত্রণালয়ের সচিবের দফতরে রয়েছে। মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য জানিয়ে বলেন, এখনও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জমা দেওয়া হয়নি। ই-মেইলে তিনি (ডা. মুরাদ হাসান) এ পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।
জানা গেছে, পদত্যাগপত্রটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে। অথবা সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠানো হবে।
এসএইচআর/এমএইচএস