নভেম্বরে বিদেশ গেছেন ১ লাখের বেশি কর্মী
চলতি বছরের নভেম্বরে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ছাড়পত্র নিয়ে ১ লাখ ২ হাজার ৮৬৩ জন কর্মী বিদেশে গেছেন। রোববার (৫ ডিসেম্বর) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয় জানায়, করোনা মহামারির মধ্যে নভেম্বর মাসে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের নতুন রেকর্ড করেছে বাংলাদেশ। এ মাসে ১ লাখ ২ হাজার ৮৬৩ জন কর্মীকে বিদেশে পাঠানোর জন্য ছাড়পত্র দিয়েছে বিএমইটি।
এর আগে ২০১৭ সালের মার্চ মাসে এক লাখের বেশি কর্মী বিদেশে গিয়েছিলেন। আর ওই বছর মোট বিদেশে গিয়েছিলেন ১০ লাখ ৮ হাজার ৫২৫ জন, যা বাংলাদেশের এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় রেকর্ড। এর পরের বছর ২০১৮ সালে সাত লাখ ৩৪ হাজার এবং ২০১৯ সালে সাত লাখ কর্মী বিদেশে যান। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালে বৈদেশিক কর্মসংস্থান থমকে যায়। ওই বছর মাত্র ২ লাখ ১৭ হাজার কর্মী বিদেশে যান। এ বছর পরিস্থিতি তুলনামূলক ভালো।
বিএমইটি সূত্রে জানা গেছে, এ বছরের প্রথম ১১ মাসে ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৮৯৫ জন কর্মী বিদেশে গেছেন।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও বিএমইটির আশা, চলতি বছর সাড়ে পাঁচ লাখ লোকের বিদেশে কর্মসংস্থান হবে। যা স্বাভাবিক সময়ের কাছাকাছি।
বিএমইটির মহাপরিচালক শহীদুল আলম জানান, মহামারির মধ্যে প্রায় পাঁচ লাখ লোকের বিদেশে কর্মসংস্থানের ঘটনা খুবই ইতিবাচক। আমরা মনে করি, বিদেশগামীদের নিবন্ধন ও ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করা, কোয়ারেন্টাইনের জন্য ২৫ হাজার করে টাকা প্রদান, বিমানবন্দরে আরটিপিসিআর বসানো, প্রবাসীদের কোভিড পরীক্ষার খরচ দেওয়াসহ সরকারের নানা উদ্যোগ এবং প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়, বিএমইটি, জেলা জনশক্তি ও কর্মসংস্থান দফতর, রিক্রুটিং এজেন্সিসহ সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এটা সম্ভব হয়েছে।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও বিএমইটি সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ মাসে যে ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৮৯৫ জন কর্মী বিদেশে গেছেন তাদের মধ্যে এককভাবে সৌদি আরবেই গেছেন ৩ লাখ ৭০ হাজার ১৪ জন। অর্থাৎ এ বছর বিদেশে যত লোক গেছেন তার মধ্যে ৭৬ শতাংশই গেছেন সৌদি আরবে।
মহামারির পর সৌদি আরবে বাংলাদেশিদের কাজের সুযোগ বেড়েছে। এছাড়া এ বছর ওমানে ৪০ হাজার ৮৬ জন, সিঙ্গাপুরে ২১ হাজার ৩৩৯ জন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১৪ হাজার ২৭৪ জন, জর্ডানে ১১ হাজার ৮৪৫ জন এবং কাতারে ৯ হাজার ৭২৮ জন কর্মী গেছেন।
বিএমইটি জানায়, গত বছর করোনার কারণে বৈদেশিক কর্মসংস্থান দারুণভাবে বাধাগ্রস্ত হলেও এ বছর পরিস্থিতি বেশ ভালো। এ বছরের শুরুতে জানুয়ারি মাসে ৩৫ হাজার ৭৩২ জন, ফেব্রুয়ারি মাসে ৪৯ হাজার ৫১০ জন এবং মার্চ মাসে ৬১ হাজার ৬৫৩ জন কর্মী বিদেশে যান।
এনআই/এসকেডি/জেএস