ল্যাবএইডে ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের অস্বীকার
ল্যাবএইড হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় রোগীর স্বজনদের মারধরেরও অভিযোগ উঠেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। যদিও ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর বিষয়টি অস্বীকার করেছে কর্তৃপক্ষ।
মারা যাওয়া রোগীর নাম দৌলত ব্যাপারী। তিনি কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন। গতকাল ১ ডিসেম্বর তার মৃত্যু হয় বলে স্বজনদের জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
রোগীর খালাতো ভাই সাইদুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আমার ভাইয়ের কিডনিতে পাথর হয়েছিল। গত ১০ নভেম্বর আমরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করি। সেদিন তার অপারেশন হয়। অপারেশনের পর তাকে হাসপাতালের ওয়ার্ডে রাখা হয়। সেখানে খিচুনি শুরু হলে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। তিন সপ্তাহ ধরে সে আইসিইউতে থাকলেও তার সঙ্গে আমাদের দেখা করতে দেওয়া হয়নি। এমনকি রোগীর বিষয়ে কোনো তথ্যও তারা আমাদের জানায়নি।’
তিনি বলেন, “এক পর্যায়ে আমরা জোরাজুরি করলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ‘রোগীর অবস্থা খারাপ, আমরা তার চিকিৎসার জন্য মেডিকেল বোর্ড বসাচ্ছি।’ মেডিকেল বোর্ডের মিটিং শেষে আমাদের জানানো হয়, রোগীকে একবার অজ্ঞান করার ইনজেকশন দেওয়ার পর সে অজ্ঞান হয়নি, তাই তিনবার ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে। এজন্য রোগীর অবস্থা একটু খারাপ হয়েছে। তারা ইনজেকশন দাতাকে কিছুক্ষণ বকাঝকা করেন। তারপর আমাদের বলেন, ‘আমরা তার চিকিৎসা করছি। সে দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবে।”
রোগীর এ স্বজন আরও বলেন, ‘রোগীর কোনো উন্নতি না দেখে আমরা তাকে থাইল্যান্ডে নিয়ে যেতে চাই। সব কাগজপত্র ঠিক করার পর গতকাল (১ ডিসেম্বর) যখন আমরা তাকে আনতে যাই তখন আমাদের জানানো হয় রোগী মারা গেছে।’
রোগীর আরেক স্বজন অভিযোগ করে বলেন, “রোগীর মৃত্যুর বিষয়ে আমরা কথা বলতে গেলে তারা আমাদের একজনকে ভেতরে নিয়ে পিটিয়ে জখম করে। তারা আমাদের হুমকি দিয়ে বলে, ‘মামলা করলে লাশ ফেরত দেওয়া হবে না। এক সপ্তাহ দেরিতে দেওয়া হবে।’ এরপর আমরা থানায় সাধারণ ডায়েরি করে লাশ নিয়ে চলে আসি।”
এ বিষয়ে ল্যাবএইড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, সংশ্লিষ্ট রোগীকে তারা সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। কোনো ভুল চিকিৎসার ঘটনা ঘটেনি।
আরিফুর রহমান নামে ল্যাবএইডের এক কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন রোগী আইসিইউতে ছিল, বড় অংকের বিল আসাতে তারা ঝামেলা শুরু করে। এরপর রোগীর এক স্বজন আমাদের এক স্টাফের গায়ে হাত তোলে। এ ঘটনার জেরে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। কাউকে মারধর করা হয়নি।’
টিআই/এসকেডি/জেএস