দ. আফ্রিকা থেকে দেশে ফেরাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে
করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ইস্যুতে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দেশে ফেরাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বুধবার (১ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিশ্ব শান্তি সম্মেলন নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
ড. মোমেন বলেন, ‘সাউথ আফ্রিকা থেকে পেসেঞ্জার আসা বন্ধ করে দিয়েছি। আগে যারা আসছে তাদেরও আইডেন্টিফাই (চিহ্নিত) করার চেষ্টা চলছে। আমরা আমাদের আফ্রিকা দূতাবাসে বার্তা পাঠিয়েছি, বলেছি সেখানে যারা আছেন এখন যেন তাদের দেশে আসতে নিরুৎসাহিত করা হয়। আসলে কিন্তু স্পেশাল কোয়ারেন্টাইন অর্থাৎ ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন করতে হবে।’
মোমেন বলেন, ‘ওই দেশের লোক আসে না, আসে তো আমাদের লোক। আমাদের লোকদের প্রতি আমরা কিছুটা সংবেদনশীল থাকব। তবুও আমরা বলেছি, কিছুদিন পরে আসেন। জরুরি প্রয়োজন না হলে তারা যেন না আসে। পরে আসলে ভালো।’
ওমিক্রন নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে গত এক মাসে ২৪০ জন বাংলাদেশে এসেছেন, তবে তাদের অধিকাংশের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, আশ্চর্যের বিষয় গত এক মাসে ২৪০ জন লোক এসেছে সাউথ আফ্রিকা থেকে। তাদের কন্ট্রাক্ট ট্রেসিং করার চেষ্টা আমরা করছি। কিন্তু আফসোসের বিষয়, তারা সবাই তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ করে রেখেছে। ঠিকানাও ভুল দিয়েছে।
করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ইস্যুতে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ আফ্রিকা থেকে আসা নিরুৎসাহিত করা হবে। যদি কেউ দেশটি থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করে তাকে ১৪ দিন বাধ্যতামূলকভাবে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
এনআই/জেডএস