১২০ স্কুলের বায়োমেট্রিক মেশিন কর্মকর্তাদের পকেটে!
বায়োমেট্রিক মেশিন স্থাপনের জন্য স্কুলপ্রতি ১২ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। কাগজে-কলমে মেশিন ক্রয় করার কথা বলা হলেও বাস্তবে পাওয়া যায় উল্টো চিত্র। ১২০ স্কুলের জন্য সরকারের বরাদ্দের পুরো টাকাই ঢুকেছে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারসহ কর্মকর্তাদের পকেটে।
২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১২০ স্কুলে ১২ হাজার টাকা করে বরাদ্দকৃত মেশিন ক্রয়ের টাকা তুলে নেওয়া হয়, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সরেজমিন স্কুল পরিদর্শনে যার সত্যতা মিলেছে। শরীয়তপুর জেলায় ঘটেছে এমন লুটপাট।
রোববার (২৮ নভেম্বর) দুদকের ফরিদপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক কমলেশ মণ্ডলের নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালনা করেছে এনফোর্সমেন্ট টিম। সংস্থাটির সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) শফি উল্লাহ ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বায়োমেট্রিক মেশিন ক্রয়ের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। দুদক টিম সরেজমিনে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় ও বরাদ্দপ্রাপ্ত বিভিন্ন স্কুল পরিদর্শন করে এবং অভিযোগ প্রসঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে কথা বলে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।
দুদক আরও জানায়, বায়োমেট্রিক মেশিন স্থাপনের জন্য ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১২০ স্কুলে ১২ হাজার টাকা করে বরাদ্দ প্রদান করা হয়। কিন্তু তারা উক্ত মেশিন ক্রয় না করে এই টাকা তুলে নেয়। দুদক এ সংক্রান্ত নথিপত্র যাচাইবাছাই করে ও সরেজমিনে স্কুল পরিদর্শন করে অভিযোগের সত্যতা পায়। টিম জানতে পারে গত জুলাই মাস থেকে কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়াও আরম্ভ হয়েছে। অভিযানে প্রাপ্ত তথ্য-প্রমাণ যাচাই করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার লক্ষ্যে প্রতিবেদন দাখিল করবে দুদক এনফোর্সমেন্ট টিম।
আরএম/এইচকে