১৩৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রামে খাল খনন প্রকল্পের উদ্বোধন
চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট বারইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার দীর্ঘ খাল খনন কাজ শুরু করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। শনিবার ( ২৭ নভেম্বর) স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম খাল খনন প্রকল্প কাজের ভিত্তি স্থাপন করেন ।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, ২.৯ কিলোমিটার দীর্ঘ খালটি হবে ৬৫ ফুট চওড়া। খালের দুই পাশে ২০ ফুট করে সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ দুটি রাস্তা হবে এবং ছয় ফুট প্রস্থের দুটি করে ওয়াকওয়ে হবে। খাল খননে ব্যয় হবে ১ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১ হাজার ১০৩ কোটি টাকার উপরে ভূমি অধিগ্রহণ বাবদ ব্যয় হবে। বারইপাড়া হাইজ্জারপুল থেকে শুরু হয়ে খালটি নূর নগর হাউজিং, ওয়াইজের পাড়া, বলিরহাটের বলি মসজিদের উত্তর পাশ দিয়ে কর্ণফুলী নদীতে মিশবে।
ভিত্তি স্থাপন অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, খাল খনন প্রকল্পটি সঠিকভাবে হচ্ছে কি না এ বিষয়ে তদন্ত করানো হবে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে টিম এসে খাল খনন কাজ দেখে যাবে। তারা কাজের মান ও কাজ সঠিকভাবে হচ্ছে কি না তা দেখবে। যেনতেন ভাবে কাজ করে টাকা-পয়সা ভাগ করে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে না।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, এ এলাকার জনগণ কোমর সমান পানির মধ্যে ডুবে থাকেন। এ পানি থেকে রক্ষা করার জন্য বারইপাড়া খালের প্রয়োজন আছে। আজ থেকে খালের কাজ পুরোদমে শুরু হয়েছে। এ খালের কাজ দুই থেকে আড়াই বছরের মধ্যে শেষ করতে পারব। খাল খনন শেষ হলে চট্টগ্রামের নাসিরাবাদ, শুলকবহর, বহদ্দারহাট, বারইপাড়া, চান্দগাঁও, বাকলিয়া ও চাক্তাই এলাকার মানুষ জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবে বলে আশা করছি। জলাবদ্ধতা নিরসনের সিডিএরও কাজ চলছে। সবার কাজ শেষ হলে নগরবাসী জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবে।
জানা গেছে , ২০১৪ সালের জুন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় বারইপাড়া খাল খনন প্রকল্প অনুমোদন পায়। তিন বার প্রকল্প সংশোধন করে ব্যয় বেড়েছে সাড়ে চার গুণ। প্রথমে ঠিক হয়েছিল, ৩২৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকা ব্যয়ে খালটি খনন করা হবে। তখন কোনো কাজই করতে পারেনি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ।সবশেষ চলতি বছরের জুনে প্রকল্পটি আবারও সংশোধন করা হয়। তাতে ব্যয় বেড়ে হয় ১ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়। এর আগে ২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারি চট্টগ্রামের তৎকালীন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনও একবার ঘটা করে করে এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেছিলেন। কিন্তু কাজ আর শুরু হয়নি।
এর আগে সকালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম টাইগার পাস থেকে পাহাড়তলী রেল লাইন পর্যন্ত আমবাগান সড়কের উদ্বোধন করেন। প্রায় ২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে কাজটি করা হয়েছে।
সেখানে এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে কাজ করছেন। শেখ হাসিনার নির্দেশে আমিও দেশের জন্য কাজ করছি। চট্টগ্রাম নগরীর উন্নয়ন নির্ভর করে মেয়রের উপর। মেয়র যত আন্তরিক হবেন ও জনদরদি হবেন তত নগর উন্নয়ন হবে। সবাইকে নিয়ে কাজ করলে তিনি ভালো করতে পারবেন।
কেএম/এসকেডি