বালু উত্তোলনের প্রতিবাদ করায় হামলা ও মামলার শিকার
ভোলার মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু উত্তোলনের প্রতিবাদ করায় স্থানীয় চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম নকিব ও তার সহযোগী শামীম বাহিনীর হামলা ও মামলার শিকার হয়েছেন বাবুল মিয়াজী নামের এক বাসিন্দা। তার বাড়ি ভোলা সদর উপজেলার ৪নং কাচিয়া ইউনিয়নে।
মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে ভুক্তভোগী এ অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগী বাবুল বলেন, আমি কাচিয়া ইউনিয়নে স্থায়ী বাসিন্দা। উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভোলার মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করে ভোলার শীর্ষ সন্ত্রাসী, বালুদস্যু জহিরুল ইসলাম নকিব-শামীম গংরা। তাদের এ বালু উত্তোলনের কারণে ৪নং কাচিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দাদের বসতবাড়ি থেকে শুরু করে পৈত্রিক সম্পদ নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বালু উত্তোলনের বিষয়ে ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদকে জানানো হলে তিনি ড্রেজারে বালু উত্তোলন করা বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। তার নির্দেশে ড্রেজারে বালু উত্তোলন করা কিছু দিন বন্ধ ছিল। কিন্তু আবার যখন উত্তোলন করা শুরু করে, তখন ইউনিয়নবাসী একত্রে সেখানে গিয়ে বালু উত্তোলন না করতে বলে। এ কারণে বালুদস্যু নকিব-শামীম তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং আমাদের বসতবাড়ি ভাঙচুর করে। মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। এতে আমাদের প্রায় ৫০ লাখ টাকার মতো ক্ষতি হয়।
বাবুল আরও বলেন, এতকিছু করার পরও তারা আমাদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছে এবং প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। তাদের ভয়ে আমরা এলাকা ছেড়ে রাতের অন্ধকারে ঢাকায় চলে আসি। ঢাকায় আসার পরও আমাদের ওপর হামলা করে তারা।
মানববন্ধন থেকে তিনি বালুসদ্যু ও সন্ত্রাসী জহিরুল ইসলাম নকিব ও আনোয়ার হোসেন শামীম গংদের হাত থেকে এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবারকে রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশ প্রধানের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এমএইচএন/এসএসএইচ