টেন্ডার ছাড়াই জনস্বাস্থ্যের ২০০ কোটি টাকার কাজ!
টেন্ডার ছাড়াই তিন বছরে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের প্রায় ২০০ কোটি টাকার কাজ সম্পাদন হয়েছে— এমন অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি দল।
রোববার দুদকের (ঢাকা-১) সহকারী পরিচালক মো. আমির হোসেনের নেতৃত্বে দলটি ইনস্টিটিউটে অভিযান চালায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ শফিউল্লাহ।
তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, মহাখালীর জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের হিসাবরক্ষক মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে স্যালাইন বিতরণ প্রতিষ্ঠানের নামে বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়েছে এনফোর্সমেন্ট টিম।
দুদক টিম সরেজমিনে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করে এবং অভিযোগ প্রসঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচালকের সঙ্গে কথা বলে প্রাথমিক সত্যতা পায়।
অভিযান সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাকে শাস্তি হিসেবে বদলি করা হয়েছে। তার দুটি বেতনবৃদ্ধি স্থগিত করা হয়েছে। অভিযানকালে দুদক টিম অভিযোগ সংশ্লিষ্ট নথিপত্র সংগ্রহ করেছে। আরও কিছু নথিপত্র সরবরাহের জন্য অনুরোধ করেছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, মহাখালীর জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের হিসাবরক্ষক মাহবুবুর রহমান ১৯৯২ সাল থেকে ২৬ বছর ধরে একই কর্মস্থলে একই পদে কর্মরত। ২০১৭-১৮ থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছর পর্যন্ত তিন বছরে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের খাবার স্যালাইন প্রকল্পে প্রায় ২০০ কোটি টাকার কাজ কোনো টেন্ডার ছাড়াই হয়েছে। পরিচালকসহ বিভিন্ন কর্মকর্তাদের যোগসাজশে মাহবুবুর রহমান বিগত বছরগুলোতে কোটি কোটি টাকার বিলের হিসাব দাখিল করেছেন।
২০১৯-২০ অর্থবছরে স্যালাইন বিতরণ প্রতিষ্ঠানের নামে বরাদ্দকৃত ৬৮ কোটি ৫০ লাখ টাকার কাজে কোনো টেন্ডার আহ্বান হয়নি, যা আত্মসাৎ করা হয়েছে। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে করোনাকালে তড়িঘড়ি করে তিন লাখ টাকা করে ৩০০টি কোটেশন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ৯ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
আরএম/আরএইচ