মাসিক অপরাধ সভায় ডিএমপির যে কর্মকর্তারা সেরা হলেন
অক্টোবরে অস্ত্র, মাদক ও গ্রেফতারি পরোয়ানাসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ সদস্যকে পুরস্কৃত করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি)।
রোববার (২১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় শ্রেষ্ঠদের পুরস্কৃত করেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
অক্টোবরের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ৮টি ক্রাইম বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে মিরপুর বিভাগ ও শ্রেষ্ঠ থানা হয়েছে মিরপুর মডেল থানা। ডিএমপির ক্রাইম বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনারদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন লালবাগ বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার কে এন রায় নিয়তি (লালবাগ জোন)।
পুলিশ পরিদর্শক তদন্তদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন বাড্ডা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবু সাইদ মিয়া আর পুলিশ পরিদর্শকদের (অপারেশনস্) মধ্যে প্রথম হয়েছেন মিরপুর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশনস্) মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন। যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ এসআই নির্বাচিত হয়েছেন খিলক্ষেত থানার মো. আবুল কালাম আজাদ ও পল্লবী থানার কাউছার মাহমুদ। যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ এএসআই নির্বাচিত হয়েছেন পল্লবী থানার এএসআই ফেরদৌস রহমান ও চকবাজার মডেল থানার এএসআই রুহুল আমিন।
শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার হয়েছেন খিলক্ষেত থানার এসআই মো. আবুল কালাম আজাদ। অস্ত্র উদ্ধার করে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন আদাবর থানার এসআই অপূর্ব কুমার বর্মন। বিস্ফোরক উদ্ধার করে প্রথম হয়েছেন কোতয়ালী থানার এসআই খালিদ শেখ। মাদক উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন বাড্ডা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবু সাইদ মিয়া এবং চোরাই গাড়ি উদ্ধার করে প্রথম হয়েছেন ধানমন্ডি মডেল থানার এসআই মো. মাহবুবুল আলম।
ডিএমপির ডিবি ৯ বিভাগে সেরা যারা
ডিএমপির ৯টি গোয়েন্দা বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে গোয়েন্দা গুলশান বিভাগ। শ্রেষ্ঠ টিম লিডার হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছেন গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ খলিলুর রহমান। চোরাই গাড়ি উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার গোয়েন্দা তেজগাঁও বিভাগের গাড়ি চুরি প্রতিরোধ ও উদ্ধার টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার হাসান মুহাম্মদ মুহতারিম। অস্ত্র উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার হয়েছেন যৌথভাবে গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ খলিলুর রহমান ও গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ, গাড়ি চুরি উদ্ধার ও প্রতিরোধ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার শিকদার মো. হাসান ইমাম। মাদকদ্রব্য উদ্ধারেও শ্রেষ্ঠ টিম লিডার হয়েছেন গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ খলিলুর রহমান। অজ্ঞান/মলম পার্টি গ্রেফতারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার হয়েছেন গোয়েন্দা রমনা বিভাগের ধানমন্ডি জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ফজলে এলাহী।
ডিএমপির ৮ ট্রাফিক বিভাগে সেরা হলেন যারা
ডিএমপির ৮টি ট্রাফিক বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে ট্রাফিক লালবাগ বিভাগ। শ্রেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার নির্বাচিত হয়েছেন একই বিভাগের কোতোয়ালী ট্রাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার বিমান কুমার দাস। শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক ইন্সপেক্টর রমনা ট্রাফিক বিভাগের নিউমার্কেট ট্রাফিক জোনের টিআই জাহাঙ্গীর কবির। শ্রেষ্ঠ সার্জেন্ট হিসেবে যৌথভাবে পুরস্কার পেয়েছেন রমনা ট্রাফিক বিভাগের রমনা ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট মফিজুর রহমান ও মিরপুর ট্রাফিক বিভাগের দারুসসালাম ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট মো. দেলোয়ার হোসেন।
বিট পুলিশিংয়ে সেরা যারা
বিট পুলিশিং কার্যক্রমে উত্তরা বিভাগ শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত হয়েছে। শ্রেষ্ঠ অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার হয়েছেন রমনা বিভাগের রমনা জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার হারুন-অর-রশিদ। শ্রেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার হয়েছেন একই বিভাগ ও জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. বায়েজীদুর রহমান। আর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন যৌথভাবে চকবাজার মডেল থানার ওসি মো. আব্দুল কাইউম, ডেমরা থানার ওসি খন্দকার নাসির উদ্দিন ও রূপনগর থানার ওসি আরিফুর রহমান সরদার।
মাসিক অপরাধ সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) মীর রেজাউল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) কৃষ্ণ পদ রায়, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) মো. আসাদুজ্জামান। এছাড়াও যুগ্ম পুলিশ কমিশনাররা, উপ-পুলিশ কমিশনাররা, অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সকল থানার ওসিরা উপস্থিত ছিলেন।
এমএসি/আইএসএইচ/ওএফ