‘বাল্য বিয়ে হলে সরকারি সুবিধা দেওয়া হবে না’
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, কোনো পরিবারে বাল্য বিয়ে হলে সে পরিবার সরকারি সামাজিক নিরাপত্তার সুবিধা পাবে না। বাল্য বিয়ের কারণে অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কিশোরীরা। এছাড়া বাল্য বিয়ের কারণে শিশু ও নারীর কল্যাণে নেওয়া সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
বুধবার (১৭ নভেম্বর) রাজধানীর ইস্কাটনে মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের মাল্টিপারপাস হলে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধের জন্য গঠিত জাতীয় কমিটির প্রথম সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাল্য বিয়ে বন্ধে সরকারের সব মন্ত্রণালয়-বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিটিকে আরো উদ্যোগী হতে হবে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, ইমাম, ধর্মীয় নেতা, এনজিও প্রতিনিধি ও কমিউনিটি নেতৃবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে বাল্য বিয়ে রোধ করতে হবে।
বাল্য বিয়ের হার দ্রুতই কমে আসছে জানিয়ে ইন্দিরা বলেন, ২০০৭ সালে ১৮ বছরের কম বয়সীদের বাল্য বিয়ের হার ছিল ৭৪ শতাংশ, যা ২০১৭ সালে ৫২ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। ২০০৭ সালে ১৫ বছরের নিচে বাল্য বিয়ের হার ছিল ৩২ শতাংশ, যা ২০১৭ সালে এই হার নেমে এসেছে ১০ শতাংশে।
সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ২০৪১ সালের আগেই বাংলাদেশ বাল্য বিয়ে মুক্ত হবে বলেও এসময় আশা প্রকাশ করেন তিনি
সংসদ সদস্য বেগম মেহের আফরোজ, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী এনামুল হাসান, মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের মহাপরিচালক রাম চন্দ্র দাস, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবির, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ, ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি কর্পোরেশন এবং বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের প্রতিনিধি সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সভায় উপস্থিত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধিরা বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে তাদের কার্যক্রম তুলে ধরেন। সভায় বাল্য বিয়ে বন্ধে প্রচার-প্রচারণা বাড়ানো, বিভিন্ন পর্যায়ের কমিটিকে আরও বেশি সক্রিয় করা, সকল মন্ত্রণালয় বিভাগ থেকে মাঠ পর্যায়ে বিয়ে বন্ধে নির্দেশনা পাঠানো, অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করা ও বিয়ের রেজিট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড করার সিদ্ধান্ত হয়।
এসএইচআর/এসকেডি