রেলে ১৪০টি নতুন ইঞ্জিন সংগ্রহের কাজ চলমান
রেলওয়েতে বর্তমানে বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় ১০০টি মিটারগেজ ও ৪০টি ব্রডগেজ নতুন ইঞ্জিন সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে বলে সংসদে জানিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদের পঞ্চদশ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে ওয়ার্কার্স পার্টির বেগম লুৎফন নেসা খানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
বেগম লুৎফন নেসা খানের প্রশ্নে জবাবে রেলমন্ত্রী জানান, বর্তমানে রেলওয়ের ২৮৩টি ইঞ্জিন রয়েছে। এর মধ্যে ১৯১টি মিটারগেজ ও ৯২টি ব্রজ গেজ। মিটারগেজ ইঞ্জিনের মধ্যে ১৩২টি এবং ব্রডগেজ ৪৩টিসহ মোট ১৭৫টির (৬১ শতাংশ) অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল উত্তীর্ণ হয়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় ১০০টি মিটারগেজ ও ৪০টি ব্রডগেজ নতুন ইঞ্জিন সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে ২০টি মিটারগেজ ইঞ্জিন রেলওয়েতে যুক্ত এবং ১০টি বন্দরে খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে। ব্রডগেজ ইঞ্জিনের মধ্যে ৮টি কমিশনিং পর্যায়ে আছে। আরো ৮টি শিগগিরই বন্দরে পৌঁছবে।
অপর এক প্রশ্নে জবাবে রেলে দুর্ঘটনা কমে আসছে দাবি করে রেলমন্ত্রী জানান, ২০২০ সালে মোট ১৪৫টি ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দুর্ঘটনা ঘটেছে ১০৬টি।
সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য হেনা মমতা লাভলীর প্রশ্নের জবাবে রেলপথমন্ত্রী জানান, রেলে নতুন ৪৭ হাজার ৬৩৭ জনবল বৃদ্ধির প্রস্তাব অনুমোদন হয়েছে।
তিনি জানান, বর্তমানে রেলওয়েতে বাণিজ্যিক বিভাগে মঞ্জুরি করা দুই হাজার ৫১৬ জন জনবলের বিপরীতে এক হাজার ৪৬০ জন কর্মরত আছে। এখানে শূন্যপদের সংখ্যা এক হাজার ৫৬টি (৪২ শতাংশ)। সম্প্রতি রেলে ৪৭ হাজার ৬৩৭ জনের নতুন জনবল কাঠামোর অনুমোদন পাওয়া গেছে।
মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামানের প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের আওতায় ২২ হাজার ৪২৮ কিলোমিটার মহাসড়ক রয়েছে। বর্তমান সরকারের আমলে সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের আওতায় ৩৫৭টি প্রকল্প শেষ হয়েছে। এ সময়ে সাত হাজার ৩২১ কিলোমিটার মহাসড়ক মজবুতকরণসহ নয় হাজার ৩৩ কিলোমিটার প্রশস্তকরণের কাজ করা হয়েছে। ৬৩২ কিলোমিটার মহাসড়ক চার লেন বা তদূর্ধ্ব লেনে উন্নীত করা হয়েছে।
এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, রাষ্ট্রায়াত্ত পাটকলগুলোকে প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে পরিচালনা করা হবে না। এগুলোতে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় দীর্ঘমেয়াদি ইজারা দেওয়ার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে ৫টি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে 'এনওএ' জারি করা হয়েছে। আশা করা যায় স্বল্প সময়ের মধ্যে এগুলো চালু হবে।
জাতীয় পার্টির শামীম হায়দার পাটোয়ারীর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে পাটকলের সংখ্যা ২২৭টি। এর মধ্যে সরকারি ২৬টি। সরকারি ২৬টিসহ দেশের ৮২টি পাটকল বর্তমানে বন্ধ রয়েছে।
কাজিম উদ্দিনের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশে বার্ষিক বস্ত্রের চাহিদা দুই হাজার ৪০০ মিলিয়ন মিটার। চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন ১৭০০ থেকে ২০০০ মিলিয়ন মিটার। প্রতি বছর ৪০০ থেকে ৭০০ মিলিয়ন মিটার আমদানি করা হয়।
এইউএ/জেডএস