ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত বাতিল করে নতুন ঘোষণা বাইডেনের
ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় জলবায়ু অভিযোজন তহবিল থেকে নিজেদের অর্থায়ন বন্ধ করেছিলেন। কিন্তু বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ট্রাম্পের ওই সিদ্ধান্ত বাতিল করে জলবায়ু তহবিলে আবারও অর্থায়নের ঘোষণা দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোর স্কটিশ ইভেন্ট সেন্টারে অভিযোজন তহবিল ঘোষণা করা হয়।
এর আগে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ডোনাল্ড ট্রাম্প বরাবর জলবায়ু তহবিলে অর্থায়নের বিরোধিতা করে আসছিলেন। ওই সময় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কানাডা ও কাতারও জলবায়ু অভিযোজন তহবিলে অর্থায়ন বন্ধ করেছিল। তবে এবারের জলবায়ু সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ঘোষণার পরই কানাডা ও কাতার জলবায়ু তহবিলে অর্থায়ন করেছে। জলবায়ু তহবিলে এবার যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও কাতার মিলে মোট ২৩২ মিলিয়ন ডলার প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
কপ কর্তৃপক্ষ জানায়, ১৯৯২ সালের গৃহীত জাতিসংঘ জলবায়ু সনদ শিল্পোন্নত ধনী দেশগুলোর অনেকেই মানছে না। ফলে ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, খরা ঘন ঘন আঘাত হানছে বাংলাদেশসহ বিশ্বের নানা দেশে। এর আগে, অভিযোজন তহবিল ছিল ১২৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা তিন বছর আগে পোল্যান্ডে ঘোষণা করা হয়। নতুন তহবিল সকল রিসোর্স মোবিলাইজেশন লক্ষ্যকে ছাড়িয়ে গেছে। এ খাতে যে অর্থ পাইপলাইনে আছে তা আগামীতে ৩০০ মিলিয়ন ছাড়াবে। মূলত জলবায়ু প্রকল্প বাস্তবায়নে এগুলো ব্যয় হবে।
ঘোষিত প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী জার্মানি ৫৮ দশমিক ২, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৫০, স্পেন ৩৫, যুক্তরাজ্য ২০ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
সুইডেন ২০১৯ থেকে ২০২২ অর্থবছরে ৫৩ মিলিয়ন প্রতিশ্রুতির মধ্যে ১৫ ডলার ছাড় করেছে। সুইজারল্যান্ড ১০, নরওয়ে ৮ দশমিক ৩৮, ফিনল্যান্ড ৮ দশমিক ১, কানাডার জাতীয় সরকার ৮ দশমিক ১, কুইবেক আঞ্চলিক সরকার ৮ দশমিক ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আয়ারল্যান্ড ১০ মিলিয়ন ইউরো, বেলজিয়ামের ফ্ল্যান্ডার্স অঞ্চল ৩ দশমিক ৪৯ মিলিয়ন এবং কাতার ৫ লাখ ডলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
জলবায়ু অভিযোজন তহবিল বোর্ডের চেয়ারম্যান ম্যাটিয়াস ব্রোম্যান বলেন, যেহেতু অভিযোজন তহবিল গত কয়েক বছর ধরে রেকর্ড চাহিদার সম্মুখীন হয়েছে। তাই আমাদের দ্রুত প্রয়োজনীয় অভিযোজন পদক্ষেপ এবং তহবিল সংগ্রহ করতে হবে। বাস্তব, কার্যকর, পরিমাপযোগ্য এবং উদ্ভাবনী পদক্ষেপ প্রয়োগে এই সমস্যা মোকাবিলা করতে হবে। তবে এ খাতে অর্থায়ন সংগ্রহ বাড়ছে। সামনে আরও বাড়বে বলে প্রত্যাশা করছি।
এসআর/এসকেডি