জ্বালানি তেল ও এলপিজির দাম কমানোর দাবি
ডিজেল, কেরোসিন ও এলপিজি গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি একটি গণবিরোধী সিদ্ধান্ত। এসবের মূল্য বৃদ্ধির ফলে কৃষি উৎপাদনে সেচ খরচ বাড়বে, ডিজেলের দাম বৃদ্ধির কারণে পরিবহনে যাত্রী ভাড়া ও পণ্য পরিবহন ব্যয় বাড়বে। এলপিজির দাম বৃদ্ধিতে পরিবহন ও গৃহস্থালীতে, হোটেল রেস্টুরেন্টে রান্নার ব্যয় বাড়বে। তাই, অতিদ্রুত এসবের দাম কমানোর দাবি জানিয়েছে সচেতন জনতার মঞ্চ নামে একটি সংগঠন।
আজ (রোববার) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এসব দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, তেল বিপণন কোম্পানি প্রায় চার হাজার কোটি টাকা মুনাফা করেছে। কারণ সে সময় আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেশ কম ছিল। গত ৭ বছর আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কম থাকার পরও দেশে দাম না কমিয়ে সরকার ৪০ হাজার কোটি টাকার বেশি মুনাফা করেছে। সেই মুনাফার টাকা কোথায়? সেই মুনাফার একটা অংশ এখন ভর্তুকি হিসেবে দিলেও দাম বাড়ানোর প্রয়োজন হতো না।
তারা বলেন, তেল পাচার হয়ে যাওয়া অজুহাত মাত্র। মনে রাখতে হবে তেল পকেটে করে পাচার করা যায় না। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় বেতন নেওয়া পুলিশ, বিজিবি কেন পাচার রোধ করতে পারে না? বাজারে নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতির সময়ে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি আগুনে ঘি ঢালার সামিল। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি মানুষের ওপর নতুন নিপীড়ন এবং তা অত্যাচারের সামিল। এমনিতেই চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণ দিশেহারা। এমতাবস্থায় ডিজেল-কেরোসিনের দাম প্রতি লিটারে ১৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে। ১২ কেজি এলপিজির দাম মাত্র ৫ মাসের ব্যবধানে বাড়ানো হয়েছে ৫৪ টাকা। এটা মরার উপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে জনগণের জীবনযাত্রাকে আরও বিপন্ন করে তুলবে।
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন- সচেতন জনতার মঞ্চের সমন্বয়কারী ড. শাহরিয়ার ইফতেখার ফুয়াদ, বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, জাতীয় পার্টি ঐক্যপ্রক্রিয়ার সমন্বয়ক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজু, বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগের মহাসচিব মুহম্মদ আতাউল্লাহ খান, লেবার পার্টি চেয়ারম্যান হামদুল্লাহ আল মেহেদী, এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, বিডিপির সভাপতি শামসুল আলম চৌধুরী সুরমা প্রমুখ।
এমএইচএন/এনএফ