সব নিত্যপণ্যের দাম কমানোর দাবি
ডিজেল, কেরোসিন ও এলপিজির বর্ধিত মূল্য নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষদের দুর্ভোগ আগের থেকে আরও বাড়াবে। তাই, জ্বালানি তেলেসহ সব নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর দাম কমানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র।
সংগঠনটি একইসঙ্গে জুতা কারখানায় আগুনে দগ্ধ হয়ে ৫ শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ীদের গ্রেফতার ও নিহতদের পরিবারকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিও জানিয়েছে।
রোববার (৭ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ইউনিয়নটি আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে শ্রমিক নেতা শহিদুল্লাহ চৌধুরী বলেন, গত দুই বছর ধরে মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শ্রমজীবী মেহনতি মানুষ। এ সময় শ্রমিকদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাপকভাবে বাধা পেয়েছে। এ সময়ে ৩ কোটি ২৪ লাখ মানুষ নতুন করে বেকার হয়েছে। চাল, ডাল, তেল, চিনিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি শ্রমিক কর্মচারীদের জীবনে নাভিশ্বাস নেমে এসেছে। সম্প্রতি ‘মরার উপর খড়ার ঘা’ হিসেবে ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য বৃদ্ধির মাধ্যমে সরকার নিম্নআয়ের শ্রমজীবী-মেহনতি মানুষকে আরও দুর্বিসহ অবস্থার দিকে ঠেলে দিয়েছে।
বক্তরা বলেন, করোনাকালে কর্মহীন হয়ে পড়া অধিকাংশ শ্রমিক এখনো চাকরিতে ফিরতে না পেরে পরিবার-পরিজনসহ মানবেতর জীবনযাপন করছে। একদিকে শ্রমজীবী মানুষের উপার্জন ক্ষমতা কমে গেছে। অন্যদিকে হঠাৎ করে ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য বৃদ্ধির ফলে তাদের সাধারণ জীবনযাপন ব্যয় আরও বৃদ্ধি পাবে। ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য বুদ্ধির অজুহাতে ইতোমধ্যে বাস ও লঞ্চ মালিকরা তাদের বাস লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে নিম্নআয়ের শ্রমজীবী মানুষ।
বক্তারা দাবি জানিয়ে বলেন, রেশনের মাধ্যমে চাল, ডাল, তেল, চিনিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী সর্বস্তরের শ্রমিক কর্মচারীদের মধ্যে সস্তায় ও নির্দিষ্ট মূল্যে সরবরাহের মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসার দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে ডিজেল ও কেরাসিনের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের দাবিও করছি।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের ঢাকা মহানগর সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক সাহিদা পারভীন শিখা, প্রচার সম্পাদক মোবারক হোসেন, মহানগর সাধারণ সম্পাদক ইদ্রিস আলী, সহসভাপতি আব্দুল হান্নান মিজি, সহসভাপতি মিজানুর রহমান বাবুল ও অর্থ সম্পাদক জালাল আহমেদ প্রমুখ।
এমএইচএন/এসএম