কমলাপুর স্টেশনে টিকিটের জন্য হাহাকার
‘ভৈরব যাব। এক ঘণ্টা ধরে টিকিটের জন্য দাঁড়িয়ে আছি। কাউন্টার থেকে বলছে টিকিট নেই। স্ট্যান্ডিং টিকিট কাটতে বলছে, কিন্তু সেখানেও টিকিট পাচ্ছি না। একেবারে বাজে অবস্থা। যাত্রীদের ভোগান্তি দেখার কেউ নেই...’
এভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করছিলেন রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ভৈরব যেতে যাওয়া আব্দুল আজিজ নাসের। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘মেয়েকে নিয়ে ঢাকা এসেছিলাম। পরিবহন ধর্মঘটের কারণে সব জায়গায় সমস্যায় পড়েছি। দেড়শ টাকার সিএনজি অটোরিকশার ভাড়া ২৬০ টাকা দিয়ে এলাম। এখানে এসে দেখি টিকিট নেই। কীভাবে যাব। স্ট্যান্ডিং টিকিটও দিচ্ছে না। কেউ কথা বলছে না। কী একটা বিশৃঙ্খল অবস্থা!’
আব্দুল আজিজের মতো শত শত যাত্রী গন্তব্যে পৌঁছাতে শেষ ভরসা হিসেবে রেলস্টেশনে এসে টিকিট না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন। কেউ কেউ টিকিট না পেয়ে স্ট্যান্ডিং টিকিটকে সোনার হরিণ মনে করছেন।
স্টেশনে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা হালিমা নামের এক যাত্রী বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ যাব, টিকিট পাইনি। অনেক কষ্টে স্ট্যান্ডিং টিকিট কেটেছি। আমি অসুস্থ, দাঁড়িয়ে কীভাবে যাব চিন্তায় আছি।’
আরিফ নামের আরেকজন বলেন, ‘ঈশ্বরদী যাব, টিকিট পাইনি। যারা শুধু অনলাইনে টিকিট কেটেছেন তাদের দেওয়া হচ্ছে। স্ট্যান্ডিং টিকিটের কথা বলা হচ্ছে। তাও পাওয়া যাচ্ছে না।’
স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে থাকা এক কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আমরা টিকিট বিক্রির জন্য এখানে বসে আছি। সকাল থেকে স্ট্যান্ডিং টিকিট দেওয়া হয়েছে, এখনো দেওয়া হচ্ছে। তবে ট্রেনের যে ধারণ ক্ষমতা আছে এর বাহিরে তো যাত্রী নেওয়া যাবে না।’
এসব বিষয়ে জানতে কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার টাকা পোস্টকে বলেন, ‘পরিবহন ধর্মঘটের কারণে স্টেশনে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। স্বাভাবিক দিনের তুলনায় দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ যাত্রী। তবে যাত্রীদের সুবিধার্থে ইতোমধ্যে ২২টি অতিরিক্ত কোচ দেওয়া হয়েছে। আমরা সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। যত যাত্রীর চাপই হোক, আমরা সেবা দিয়ে যাব।’
অনেকে টিকিট পাচ্ছেন না এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে স্টেশন ম্যানেজার বলেন, ‘ইতোমধ্যে সব রুটের টিকিট বিক্রি শেষ। আমরা এখন স্ট্যান্ডিং টিকিট দিচ্ছি। বাড়তি বগি যুক্ত করা হয়েছে। তবে আমাদেরও সীমাবদ্ধতা রয়েছে।’
এসআই/ওএফ