ধানের জমিকে পুকুর দেখিয়ে কর ফাঁকি দেড় লাখ টাকা!
ধানের জমিকে পুকুর দেখিয়ে রেজিস্ট্রেশনের সময় রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়েছে এক লাখ ৬৮ লাখ ৬৭৫ টাকা। অভিযোগের তির নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রারের দিকে। যদিও মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে অভিযোগের দায় স্বীকার করে এরইমধ্যে রাজস্ব ফাঁকির টাকা জমা দিয়েছেন দলিল লেখক।
রোববার দুদকের রাজশাহী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আল আমিনের নেতৃত্বে রেজিস্ট্রি অফিসে পরিচালিত অভিযান সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নাটোর জেলার গুরুদাসপুরে সদ্য বদলি হওয়া এক সাব-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে ঘুষের বিনিময়ে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ ছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান চালায়।
তিনি বলেন, প্রাপ্ত অভিযোগে মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে দলিল লেখক সুজন আহমেদকে চিহ্নিত করা হয়েছে। অভিযোগে শ্রেণি জালিয়াতির মাধ্যমে ধানের জমিকে পুকুর দেখিয়ে রেজিস্ট্রি করে রাজস্ব ফাঁকির কথা বলা হয়েছে। দুদক টিম সরেজমিনে রেজিস্ট্রি অফিস পরিদর্শন করে এবং অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রেকর্ড যাচাই করে।
দুদক সূত্রে আরও জানা যায়, এনফোর্সমেন্ট টিমের প্রাথমিক অনুসন্ধানে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে। দলিল লেখক ইতোমধ্যে ভুল স্বীকার করে অঙ্গীকারপত্র এবং ব্যাংকের মাধ্যমে করফাঁকির অর্থ জমা দিয়েছেন।
অভিযানে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত বিস্তারিত যাচাই করে এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করবে বলে জানিয়েছে দুদকের জনসংযোগ দফতর।
আরএম/আরএইচ/জেএস