রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন না হওয়া পর্যন্ত মানবিক সহায়তা অব্যাহত
বাংলাদেশের কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন না হওয়া পর্যন্ত যুক্তরাজ্য তাদের মানবিক সহায়তা চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন।
রোববার (২৪ জানুয়ারি) ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি আয়োজিত রোহিঙ্গা শরণার্থী বিষয়ক কনফারেন্সের উদ্বোধনী সেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন হাইকমিশনার।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য মানবিক সহায়তা চালিয়ে যাওয়া এবং একইসঙ্গে তারা নিজ দেশ মিয়ানমারে স্বেচ্ছায়, নিরাপদে ও মর্যাদার সঙ্গে ফিরে যেতে পারে সেজন্য আরও জোর প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করছে যুক্তরাজ্য।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার জানান, জাতিসংঘে যুক্তরাজ্য রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। একইসঙ্গে সংস্থাটিতে রোহিঙ্গাদের ওপর যে গণহত্যা হয়েছে সেটাও তুলে ধরার ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করেছে।
এ সময় ডিকসন ২০১৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গা এবং স্থানীয়দের জন্য ৩০০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন।
মিয়ানমার থেকে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সমস্যা সমাধান ও প্রত্যাবাসনে পশ্চিমা যে কয়টি দেশ শুরু এই থেকে আশ্বাস এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে তাদেরই একটি যুক্তরাজ্য। তবে রোহিঙ্গাদের পেছনে অর্থায়নের বাইরে প্রত্যাবাসন ইস্যুতে কার্যত কোনো সফলতা দেখাতে পারেনি দেশটি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুতে প্রায়ই পশ্চিমাদের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনে সেনা অভিযান শুরুর পর কয়েক মাসের মধ্যে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। আগে থেকে বাংলাদেশে ছিল আরও চার লাখ রোহিঙ্গা।
আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে ২০১৭ সালের শেষ দিকে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করলেও সেই প্রত্যাবাসন আজও শুরু হয়নি।
তবে সম্প্রতি চীনের মধ্যস্থতায় হওয়া ত্রিপক্ষীয় বৈঠক শেষে মিয়ানমারকে প্রত্যাবাসন শুরুর বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করতে দেখা যায়। বাংলাদেশও আশা করছে, চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রত্যাবাসন শুরু করা যাবে।
এনআই/জেডএস