হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে ২০ মিনিটের মৌন অবস্থান
সারাদেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ওপর হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ২০ মিনিটের মৌন অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে যুব বাঙালি নামে একটি সংগঠন। শুক্রবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিট থেকে ৬টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন হয়।
রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের সামনে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে মোমবাতি জ্বালিয়ে এ কর্মসূচিতে অংশ নেন অসংখ্য মানুষ।
অবস্থান কর্মসূচিতে কেউ কোনো বক্তব্য না রাখলেও একটি প্রচারপত্র বিতরণ করা হয়।
‘কাটুক আঁধার, জ্বলুক আলো’ শিরোনামে ওই প্রচারপত্রে বলা হয়, সারাদেশে হামলা, ভাংচুর ও সর্বশেষ রংপুরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা নিছক সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টা নয়। বরং বাঙালির তৃতীয় জাগরণের পর্যায়কালকে যৌক্তিক পরিণতির দিকে যেতে না দেওয়ারই চেষ্টা। এসব ঘটনা দীর্ঘ আন্দোলন এবং সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাঙালির স্বাধীনতা ও জাতিত্বের ওপর আঘাত।
আরও বলা হয়, ধর্ম-বর্ণ-জাতি নির্বিশেষে বাঙালির যে সহাবস্থান তা বিপরীতভাবে চিত্রায়িত করে বাঙালিত্বের বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা চলছে। স্বাধীনতা সংগ্রাম ও সশস্ত্র যুদ্ধের প্রস্তুতি পর্যায়েও এই ধরনের বহু চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে বাঙালির সকল আন্দোলনে যুব সমাজের ভূমিকাই অগ্রণী ছিল। কিন্তু সেই সংগঠিত যুব শক্তিকে কখনই রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। বরং নানানভাবে তাচ্ছিল্য করা হয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশে।
প্রচারপত্রে আরও বলা হয়, যুব সমাজের অতীত গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা তুলে ধরার মাধ্যমে দেশের যুব সমাজকে উজ্জীবিত করতে হবে। কেবল তখনই জাগ্রত তরুণ-যুবকরা বাঙালিত্ব রক্ষা ও বিকাশের সংগ্রামে সামাজিকভাবে ঐক্যবদ্ধ হবে এবং সক্রিয় ভূমিকা পালনে উদ্যোগী হতে হবে। রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি অদলীয় শ্রম-কর্ম-পেশার সকল জাতিগোষ্ঠী ও ধর্মীয় প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত শাসনব্যবস্থার মাধ্যমে বাঙালিত্বের বিকাশের ধারাকে আরও প্রশস্ত করতে হবে।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির যুগ্ম আহ্বায়ক রায়হান তানভীর, সদস্য সচিব তানসেন, দফতর সম্পাদক হাসান আসিফ প্রমুখ।
এইউএ/এসকেডি