সিআইডির সেই এএসপির সম্পদের খোঁজে দুদক
দিনাজপুরে মা ও ছেলেকে অপহরণের ঘটনায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে থাকা সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার সারোয়ার কবিরের কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (১৮ অক্টোবর) কমিশনের এক সভায় এই অনুসন্ধানের অনুমোদন দেওয়া হয়। দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সূত্রমতে, এএসপি সারোয়ার কবির চাকরির কয়েক বছরের মধ্যেই অবৈধ উপায়ে কোটি কোটি টাকা অর্জন করেছেন। এই অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকের উপ-পরিচালক শাহীন আরা মমতাজকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা এবং পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনকে তদারকি কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে দুদক।
গত ২৩ আগস্ট রাত ৯টায় দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার নান্দেরাই গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে মা জহুরা বেগম (৪৬) ও ছেলে জাহাঙ্গীরকে (২৫) ডিবি পুলিশের পরিচয়ে মাইক্রোবাসযোগে অপহরণ করা হয়। এ সময় মা ও ছেলেকে মারপিটও করে অপহরণকারীরা। অপহরণকারীরা বলে, তারা জাহাঙ্গিরের বাবা লুৎফর রহমানকে ধরতে এসেছে, তার বিরুদ্ধে ৫০ লাখ টাকার প্রতারণার মামলা আছে।
এরপর জহুরা বেগমের বাড়ির লোকজন র্যাব, ডিবি পুলিশসহ বিভিন্ন জায়গায় আটকের বিষয়ে খোঁজ নেন। কিন্তু কেউ আটকের বিষয়ে কিছু বলতে পারে না।
পরে অপহরণকারীরা মোবাইলে লুৎফর রহমান ও তার ভাই রমজানের কাছে প্রথমে ৫০ লাখ এবং পরে ১৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
অপহরণকারীদের দেওয়া তথ্যে আট লাখ টাকা নিয়ে ২৪ আগস্ট বিকেলে দিনাজপুর সদর উপজেলার বাশেরহাটে যান লুৎফরের পরিবারের সদস্যরা। পরে অপহরণকারীরা টাকা নিতে এলে এলাকাবাসী তাদের ধাওয়া করে। তখন তারা মাইক্রোবাসটি নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে।
খবর পেয়ে দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের দশমাইল এলাকা থেকে পুলিশ সিআইডির তিন সদস্য ও মাইক্রোবাস চালককে আটক করে। পরে রাতে সিআইডির সোর্স খাসিউর রহমানকেও আটক করা হয়।
এরপর ওই দিনই অপহৃত জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে চিরিরবন্দর থানায় মামলা করেন।
এই মামলার পাঁচ আসামি হলেন- রংপুর সিআইডির এএসপি সারোয়ার কবীর, এএসআই হাসিনুর রহমান, কনস্টেবল আহসানুল হক, মাইক্রোবাস চালক হাবিবুর ও সিআইডির সোর্স খাসিউর রহমান।
আরএম/এমএইচএস/জেএস