কোনো শিশু যেন শেখ রাসেলের মতো অমানবিক হত্যাকাণ্ডের শিকার না হয়
কোনো শিশু যেন শেখ রাসেলের মতো অমানবিক হত্যাকাণ্ডের শিকার না হয় সেই ব্রত সবাইকে ধারণ করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
সোমবার (১৮ অক্টোবর) জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের উদ্যোগে ‘শেখ রাসেল দিবস ২০২১’ উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।
শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার সর্বকনিষ্ঠ সন্তান শিশু শেখ রাসেল। কোনো অপরাধ ছিল না তার, নিষ্পাপ শিশু ছিল সে। শিশু রাসেল আজ বেঁচে থাকলে পরিবারের ঐতিহ্যকে ধারণ করে দেশ ও জাতির সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতো। দুঃখের বিষয় সে সুযোগ জাতি পেল না। বাংলাদেশের কোনো শিশু যেন অমানবিক আচরণ ও এরূপ হত্যাকাণ্ডের শিকার না হয়, এই ব্রত সবাইকে ধারণ করতে হবে।
তিনি বলেন, বাল্যকাল থেকে শেখ রাসেল ক্রীড়াপ্রেমী ছিল। বাল্যকালে সে তার খেলনা সামগ্রী বন্ধুদের মধ্যে বিতরণ করতে খুব পছন্দ করত। বঙ্গবন্ধুর এই গুণটি শিশু রাসেল ছোটবেলা থেকেই পেয়েছিল। এই শিশু রাসেল হত্যার বিচার করতে আমাদের অনেক সময় লেগে গেলেও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পাশাপাশি তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের হত্যার বিচারকার্য আমরা সম্পন্ন করতে পেরেছি। ঘাতকদের অনেককেই শাস্তি দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার শিশুদের সব ধরনের সুবিধা নিশ্চিত করতে অত্যন্ত সচেতন। শিশুর মৌলিক চাহিদা থেকে শুরু করে সুস্থ মানুষ হিসেবে মানবিক গুণাবলি বিকশিত হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সব কিছু নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করছে। শিশুদের বেড়ে ওঠার জন্য ভালোবাসাপূর্ণ মানবিক পরিবেশ নিশ্চিতের মাধ্যমে শিশু শেখ রাসেলের প্রতি সবার আবেগ ও ভালোবাসা পূর্ণতা পাবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে ডেপুটি স্পিকার এডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, শেখ রাসেলের হত্যা ইতিহাসের ন্যাক্কারজনক ঘটনা। এসময় শিশু রাসেলসহ বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের পলাতক হত্যাকারীদের ফিরিয়ে এনে শাস্তি নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি।
হুইপদের পক্ষে বিশেষ অতিথি হিসেবে হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, শেখ রাসেল হত্যাকাণ্ড ইতিহাসের সহিংস, বর্বর, পৈশাচিক ও বেদনাদায়ক একটি ঘটনা। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের কাল রাত্রিতে শেখ রাসেলের মতো ছোট শিশু রক্ষা পায়নি। শিশু রাসেল ছিল ফুলের মত নিষ্পাপ।
সংসদ সচিবালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে এবং পরিচালক তারিক মাহমুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও সংসদ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ফোরামের সভাপতি উপসচিব এ কে এম জি কিবরিয়া মজুমদার সূচনা বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
এর আগে সংসদ সচিবালয় মসজিদে শিশু শেখ রাসেলসহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের শহীদগণের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া-মাহফিল ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
এইউএ/এসএম