বৈচিত্র্যপূর্ণ সংস্কৃতি এই দেশের অমূল্য সম্পদ : খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, বাংলাদেশের সমতলে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বৈচিত্র্যপূর্ণ সংস্কৃতি এদেশের অমূল্য সম্পদ। বিনোদনের পাশাপাশি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতির সাথে এ অঞ্চলের মানুষের রয়েছে নাড়ির সম্পর্ক।
শনিবার (১৬ অক্টোবর) নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার শিবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মজুমদার বাড়ি বারোয়ারি দুর্গাপূজা উদযাপন কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নৃত্য উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দিক থেকে বাংলাদেশ এই অঞ্চলের রোল মডেল। বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটেছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িক নীতির ভিত্তিতে। আমাদের বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কোনোক্রমেই ভূলুণ্ঠিত হতে দেওয়া হবে না।
দেশের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির বিকাশ ও পৃষ্ঠপোষকতায় সরকার ইতোমধ্যে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষায় তৃণমূল পর্যায়ের এ ধরনের আয়োজন নিজস্ব কৃষ্টির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, এ অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সংস্কৃতি যাতে হারিয়ে না যায় তার জন্য ‘ত্রিশূল’ নামে একটি সংগঠন কাজ করছে। শুধু দেশের মধ্যে নয় দেশের বাইরেও এ ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে ত্রিশূলের নেতৃবৃন্দকে কর্মসূচি নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সুষ্ঠু সংস্কৃতির চর্চার পাশাপাশি মাদক ও বাল্যবিবাহ থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শিক্ষিত হয়ে দেশের কল্যাণে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর তরুণ-তরুণীদের আত্মনিয়োগ করতে হবে।
শারদীয় দুর্গোৎসবের পর একাদশীতে এ নৃত্য উৎসবকে কেন্দ্র করে শিবপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয়। মুখরিত হয়ে ওঠে তাদের দলভিত্তিক পরিবেশিত নিজস্ব নৃত্যানুষ্ঠান। শুদ্ধ সংস্কৃতির চর্চাকে এগিয়ে নিতে প্রতিবছর এই নৃত্যানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মো. আব্দুল বাতেন, নওগাঁর জেলা প্রশাসক মো. হারুন অর রশীদ, পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়া, ত্রিশূলের সভাপতি প্রকৌশলী তৃণা মজুমদার বক্তব্য রাখেন।
নৃত্যানুষ্ঠানে নওগাঁ, রাজশাহী, দিনাজপুর ও নাটোর জেলার বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ২৩টি দল অংশ নেয়। পরে মন্ত্রী নৃত্যানুষ্ঠানে বিজয়ীদলগুলোর মধ্য পুরস্কার বিতরণ করেন।
এসএইচআর/এইচকে