আইন প্রণয়নের মাধ্যমে ইসি গঠনের দাবি
সরকার একক সিদ্ধান্তে সার্চ কমিটির মাধ্যমে ইসি গঠন করলে রাজনৈতিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাবে বলে মন্তব্য করেছে রাজনৈতিক নেতারা। তারা দাবি জানিয়ে বলেছেন, সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করতে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে ইসি গঠন করতে হবে।
শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ জনতা ঐক্য আয়োজিত ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২-এ অন্তর্ভুক্ত ৯০বি ধারা বাতিলসহ সব কালো আইন বাতিল ও সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ অনুসারে নির্বাচন কমিশন গঠনের আইন’ করার দাবিতে এক মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইন ২০২০ সম্পর্কে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের মতামত চেয়েছেন। আমরা বাংলাদেশ যুব শক্তি মনে করছি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ আইনের ৯০র বি ধারাসহ রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইন ২০২০ গণনেতৃত্ব বিকাশের অন্যতম অন্তরায়। প্রস্তাবিত এই আইনের অধিকাংশ ধারা উপ-ধারাই বাংলাদেশের সংবিধান, গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী।
তারা বলেন, পরপর দুইটি সার্চ কমিটির ইসি গঠনের ফলাফল মানুষকে হতাশ করেছে। নির্বাচন কমিশন দলীয় সরকারের না নির্দলীয় সেটাও গুরুত্বহীন অনেকটা। কারণ মেধাহীন মেরুদণ্ডহীন মানুষদের যদি সাংবিধানিক পদে বসানো হয় তাদের আচরণে, কথা বার্তায় জাতিকে সংকটের আবর্তে পড়ে হিমশিম খেতে হয়। এখনো যে সময় আছে, তাতে একটি আইন করা সম্ভব। কারণ এই আইনের একটি খসড়া করা আছে। এ টি এম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন খসড়াটি করেছিলেন।
বক্তারা আরও বলেন, সংবিধানে যেভাবে বলা আছে, সেভাবে একটি আইন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হোক। নতুন কমিশন গঠনের আগে এই আইন করার মতো সময় এখনো আছে। সরকার আন্তরিক হলে আইন করা সম্ভব। বর্তমান ও এর আগের নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের কারণে নির্বাচনী ব্যবস্থায় মানুষের আস্থার সংকট দেখা দিয়েছে। মানুষের আস্থা ফেরাতে নির্বাচন কমিশন এমনভাবে পুনর্গঠন করতে হবে, যেটা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মো. আরিফুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহিম খন্দকার, বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, গণ আজাদী লীগ মহাসচিব মোহাম্মদ আতাউল্লাহ খান প্রমুখ।
এমএইচএন/এমএইচএস