জামাই-শাশুড়ির যৌথ মাদক কারবার!
রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে কাপড়ের ব্যবসা ছিল মো. রবিনের (২৯)। কিন্তু করোনাকালে দফায় দফায় বিধিনিষেধের কারণে বন্ধ হয়ে যায় সে ব্যবসা। পরবর্তী সময়ে মাদকের কারবারে জড়িয়ে পড়েন রবিন। একইসঙ্গে মাদক কারবারিতে জড়িয়ে পড়েন তার শ্বশুর-শাশুড়িও।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও ধানমন্ডি থেকে রবিন ও তার শাশুড়ি আরাফা বেগমকে গ্রেফতারের পর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর (ডিএনসি) জানিয়েছে, তাদের পুরো পরিবার মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত। বৃহস্পতিবার সকালে তাদের গ্রেফতার করে ডিএনসি ঢাকা মেট্রোর একটি দল।
গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে ২৭০ গ্রাম মাদক ক্রিস্টাল মেথ বা আইস ও সাড়ে ছয় হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত আইস ও ইয়াবার বাজারমূল্য আনুমানিক এক কোটি টাকা।
সন্ধ্যায় তেজগাঁওয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের (উত্তর) কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, গ্রেফতার রবিন ও তার শ্বশুরবাড়ির সবাই মাদক কারবারে জড়িত। রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের আলপনায় প্লাজা কাপড়ের দোকান ছিল রবিনের। করোনায় ক্ষতির সম্মুখীন হয় ব্যবসা।
কয়েক দফায় কঠোর বিধিনিষেধে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে রবিন মাদক কারবারের দিকে ঝুঁকে পড়েন। সঙ্গে ঝুঁকে পড়ে তার শ্বশুরবাড়ির সবাই। রবিনের শ্বশুর নুরুল হুদা দুই মাস আগে চট্টগ্রামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফূরের অভিযানে মাদকসহ গ্রেফতার হন। বর্তমানে তিনি কারাগারে। রবিনের স্ত্রী মাদকসেবী।
উপ-পরিচালক রাশেদুজ্জামান বলেন, রবিন ও আরাফা বেগমকে টেকনাফ থেকে আইস ও ইয়াবা সরবরাহ করে আসছিল একটি চক্র। কারা তাদের আইস ও ইয়াবা কারবারে জড়ালো, কারা মাদক সরবরাহ করছিল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, টেকনাফ থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে কুরিয়ারে করে তাদের কাছে আইস ও ইয়াবা এসেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা। দুই বছর ধরে তারা মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত বলেও স্বীকার করেছেন।
জেইউ/আরএইচ