ফেসবুক চালাতে নিষেধ করায় গায়ে আগুন দিয়ে তরুণীর আত্মহত্যা
রাজধানীর নিউমার্কেট থানা এলাকায় গভ.ল্যাবরেটরি স্কুলের কোয়ার্টারে ইশিতা (১৯) নামে এক কিশোরী নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়। এর দুদিন পর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) সকাল ৮টায় শেখ হাসিনা বার্নের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ এসে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে দুপুর ২টায় ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মর্গে পাঠায়।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইউব হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, সোমবার (১০ অক্টোবর) ভোরের দিকে এখানে আনা হয়েছে। তার শরীরের ৮০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। তাকে দ্রুত আইসিইউতে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহতের মামা মিজান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার ভাগ্নি ডিসেম্বরের এইচএসসি পরীক্ষার্থী। সে আজিমপুর গালর্স কলেজের ছাত্রী।সামনে পরীক্ষা থাকায় আমার বোন তাকে ফেসবুক চালাতে নিষেধ করেন। সেই ক্ষোভে গত রোববার গভীর রাতে সে নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়। পরে তাকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা বার্নে নেওয়া হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে আইসিইউতে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার সকালে সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
তিনি আরও জানান, আমার দুলাভাই গভ.ল্যাবরেটরি হাই স্কুলের কম্পিউটার অপারেটরের চাকরি করে। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে সে সবার বড়। তার বাবার নাম মো. ইদ্রিস।
নিউমার্কেট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাইনুল ইসলাম খান পুলক ঢাকা পোস্টকে বলেন, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের মর্গে তার সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
এসএএ/ওএফ