প্রেমের প্রস্তাব না মানায় অপহরণ হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সেই তরুণী
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় ফিল্মি স্টাইলে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে অপহরণের ঘটনার মূল কারণ প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়া। ওই ঘটনায় অপহরণকারী ও মূল পরিকল্পনাকারী মো. জসীম উদ্দিনকে রাজধানীর বাড্ডা থেকে গ্রেফতারের পর বিষয়টি জানিয়েছে র্যাব।
মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) মিডিয়া সেন্টারে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে র্যাব।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, জসীম উদ্দিন মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী। ভুক্তভোগী তরুণীর ভাষ্যমতে দীর্ঘদিন ধরে সে (জসীম উদ্দিন) তাকে (তরুণী) প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। স্কুলে যাওয়া ও প্রাইভেট পড়তে আসা-যাওয়ার সময় জসীম প্রায়ই তরুণীকে উত্ত্যক্ত করত বলে স্বীকার করে। কিন্তু তরুণী প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বিভিন্ন সময় জসীম তরুণীকে অপহরণসহ বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখায়।
ঘটনার দিনের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ৯ অক্টোবর আনুমানিক দুপুর আড়াইটায় ওই তরুণী স্কুল শেষে বাসায় যাওয়ার পথে জসীম ও তার কয়েকজন সহযোগীসহ (ইরফান এবং আশিক) ভুক্তভোগীকে জোরপূর্বক টানাহেঁচড়া করে একটি প্রাইভেটকারে উঠিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৫টা পর্যন্ত জোরপূর্বক আটকে রেখে বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করে সন্ধ্যার দিকে জসীম তার এক নিকটাত্মীয়ের বাসায় ওই তরুণীকে নিয়ে যায়।
ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, গণমাধ্যম ও এলাকায় জানাজানি হওয়ায় জসীম ওই তরুণীকে রাত ৮টায় ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে জসীম রাজধানীর বাড্ডায় তার এক নিকটাত্মীয়ের বাসায় আত্মগোপন করে। জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায় যে, অপহরণে ব্যবহৃত প্রাইভেটকারটি জসীম তার এক আত্মীয়ের কাছ থেকে ভাড়ায় নেন।
খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, এঘটনায় জড়িত অন্যদের ধরতে কাজ করছে র্যাব। এই ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হওয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭/৩০ ধারার মামলায় জসীমকে গ্রেফতার দেখানো হবে।
এআর/জেডএস