বীর মুক্তিযোদ্ধাদের রুপার মেডেল দেওয়ার সুপারিশ
দেশের সব বীর মুক্তিযোদ্ধাকে রুপার মেডেল দেওয়ার সুপারিশ করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
রোববার (১০ অক্টোবর) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।
এ বিষয়ে কমিটির সভাপতি শাজাহান খান বলেন, সরকার সব মুক্তিযোদ্ধাকে স্মার্ট আইডি কার্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা সুপারিশ করেছি আইডি কার্ডের পাশাপাশি তাদের ত্যাগের প্রতি সম্মানসূচক একটি করে রুপার মেডেল দেওয়ার জন্য। মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।
এ বিষয়ে সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে- স্বাধীনতা যুদ্ধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের অবদান স্মরণ করে প্রত্যেক বীর মুক্তিযোদ্ধাকে নিজ নিজ মুক্তিযোদ্ধা নম্বর সম্বলিত একটি করে রুপার তৈরি পদক প্রদানের সুপারিশ করা হয়েছে।
বৈঠকে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের জমি সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে বিশেষ অনুমতি নেওয়ার সুপারিশ করেছে কমিটি।
এ বিষয়ে শাজাহান খান বলেন, কল্যাণ ট্রাস্টের অনেক সম্পত্তি পড়ে রয়েছে। আমরা এগুলো বিক্রি করে স্থায়ী আমানতের সুপারিশ করেছি। ওই সম্পত্তি যাতে বেশি দামে বিক্রি করা যায় সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে সামারি পাঠিয়ে বিশেষ অনুমতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। আর শহরের প্রাণকেন্দ্রে যে জমিগুলো রয়েছে সেগুলো বড় কোনো ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির কাছে বিক্রি করা যায় কি না সেটা দেখতে বলেছি।
এ বিষয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- কল্যাণ ট্রাস্টের অপ্রয়োজনীয় সম্পত্তি অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে বিক্রয়ের লক্ষ্যে যৌক্তিক মূল্যের বিবরণীসহ প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি সারসংক্ষেপ প্রেরণের সুপারিশ করা হয়।
এছাড়া স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশে স্থায়ী কমিটিকে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করা হয়। সারা দেশে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নির্মাণ করা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সগুলো কতটি শহরে এবং কতটি শহরের বাইরে অবস্থিত সে সংক্রান্ত তথ্য আগামী বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে চট্টগ্রামে কল্যাণ ট্রাস্টের সম্পত্তি সরেজমিন পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। চলতি মাসের শেষ দিকে সেখানে পরিদর্শনে যাওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে।
কমিটির সভাপতি শাজাহান খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও অংশ নেন কমিটির সদস্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক, রাজি উদ্দিন আহমেদ, কাজী ফিরোজ রশীদ এবং মোছলেম উদ্দিন আহমদ।
এইউএ/জেডএস/জেএস