ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে বাড়ছে ‘শঙ্কা’
বিশ্বজুড়ে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা যেন শেষ হচ্ছে না। দফায় দফায় রূপ পরিবর্তন নিয়ে বিশেষজ্ঞদের দুশ্চিন্তার মধ্যে স্বস্তির নিঃশ্বাস হিসেবে টিকাে এলেও এবার এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন আতঙ্ক। ভারতে প্রথমদিন টিকা দেওয়ার পর প্রায় ৫০০ মানুষের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবরে বাংলাদেশেও জনমনে তৈরি হয়েছে নানা শঙ্কা। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সব টিকারই সাধারণ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। এটি খুব বেশি স্থায়ী হয় না। তাই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নিলেও আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
তারা বলেন, সাধারণত টিকায় দুর্বল বা মৃত ভাইরাস থাকে। যার মাধ্যমে শরীর সেই ভাইরাসের বিপরীতে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে। তবে করোনার টিকাগুলোর মধ্যে কয়েকটিতে প্রথমবারের মতো মেসেঞ্জার আরএনএ (এমআরএনএ) প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। এতে কোনো ভাইরাস থাকে না। এর বদলে কোভিড-১৯ এর জীবাণুর ব্লুপ্রিন্ট বা প্রতিরূপ থাকে। তাই দুই ধরনের টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দুই রকম হতে পারে।
ভারতে কোন টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে, সেটা বুঝা যাচ্ছে না। কারণ তারা অক্সফোর্ডের টিকা ছাড়াও দেশীয় টিকা ব্যাপক হারে দিচ্ছে। নরওয়েতে ফাইজারের টিকার কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা বলা হচ্ছে। তবে মৃত্যুর বিষয়ে দেশটি বলেছে, এর সঙ্গে টিকার কোনো সম্পর্ক নেই। তাদের হয়তো অন্যকোনো সমস্যা ছিল। তবে বিস্তারিত তারা প্রেজেন্ট (উপস্থাপন) করবে। বিষয়টা নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন, সবাই জানতে চাচ্ছে। আমরাও ফাইজারের টিকা আনব
আইইডিসিআরের উপদেষ্টা ড. মোশতাক হোসেন
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, এ টিকা নেওয়ার পর হালকা গা-ব্যথা, শরীর গরম, লালচে হয়ে যাওয়া, চুলকানি, টিকা দেওয়ার স্থান ফুলে যাওয়া, সেখানে ক্ষত হওয়া, অসুস্থ-ক্লান্ত বোধ করা, ঠান্ডা বা জ্বর জ্বর লাগা, মাথাব্যথা, বমিভাব, জ্বর, ফ্লুর উপসর্গ- ইত্যাদি দেখা দিতে পারে কারও কারও ক্ষেত্রে।
তবে তারা বলেছে, পরীক্ষামূলক প্রয়োগে তাদের ‘কোভিশিল্ড’ টিকা গড়ে ৭০ দশমিক ৪২ শতাংশ মানুষকে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকর সুরক্ষা দিতে পেরেছে।
এ প্রসঙ্গে সরকারের রোগতত্ত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ড. মোশতাক হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তো সবকিছুরই থাকে। করোনা ভ্যাকসিনেরও কিছু প্রতিক্রিয়া দেখা দিতেই পারে। সাধারণত যেকোনো টিকা নিলেই ইনজেকশন দেওয়ার স্থানটি লাল হয় বা ফুলে যায়। তিনদিনের মধ্যে অবসাদ, জ্বর, মাথাব্যথা, শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে ব্যথা হতে পারে। তবে এর কোনোটিই দীর্ঘস্থায়ী নয়। সুতরাং এটা নিয়ে ভয়ের কিছু আছে বলে আমি মনে করছি না।’
বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের (বিএমআরসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোদাচ্ছের আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা গ্রহণের পর সারাবিশ্বেই ছোট ছোট কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে। বিশেষ করে টিকা নেওয়ার জায়গাটা ফুলে যাওয়া, লাল হয়ে যাওয়া, জ্বর-জ্বর ভাব হয়ে থাকে। তবে এসবের বাইরে কোনো ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কিন্তু এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। বরং এ টিকার সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে, টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার তিন সপ্তাহ পরেই ইমিউনিটি ডেভেলপ (রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে) করে। এর পরও যদি কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়ে থাকে, তাহলে এখন পর্যন্ত কারও হসপিটালাইজড হওয়া লাগেনি। আমি মনে করি, এটা বড় একটা বিষয়; অন্তত একজন ব্যক্তির জীবনটা বাঁচল।’
তিনি আরও বলেন, এ টিকা নতুন করে রোগে আক্রান্ত হওয়া থেকে রক্ষা করতে পারলেও আক্রান্ত ব্যক্তির রোগ সারাতে পারছে না। কিন্তু টিকা নেওয়ার পরও যে কেউ করোনায় আক্রান্ত হতে পারে। এক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষও বলেছে, এ টিকা ৮০ শতাংশ মানুষকে ইমিউনিটি দেবে।
টিকা নেওয়ার পর পাশের দেশ ভারতে ব্যাপক সংখ্যক মানুষের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘কোভ্যাকসিনের সমস্যা হলো, তারা ক্লিয়ার করেনি যে এ টিকা নেওয়ার পর কত ভাগ লোকের ইমিউনিটি ডেভেলপ করবে, কত ভাগের সাইড ইফেক্ট হবে, তারা কিছুই জানায়নি। তারা আমাদের দেশে ভ্যাকসিনটা ট্রায়ালের অনুমতি চাইলে পরে ইমিউনিটি ও সাইড ইফেক্ট নিয়ে কাগজপত্র চাইলে দুই সপ্তাহেও এখন পর্যন্ত কোনো জবাব দেয়নি তারা। তাদের আসলে এ পেপারগুলো নাই কি-না, তাও জানি না। আমরাও তাদের পারমিশন দেইনি। কারণ, এখন মূল এ এভিডেন্স পেপার (প্রমাণপত্র) ছাড়া তো আমরা তাদের অনুমোদন দিতে পারি না।’
ভারত কোভ্যাকসিন নামের যে টিকাটা নিজেরা বের করেছে, সেটা দেশটিতে ব্যাপক আকারে দিচ্ছে। এখন কোন ভ্যাকসিনে এ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে, সেটা কী করে বুঝব? আমরা তো নিশ্চিত না যে যাদের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে, তারা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়েছে
বিএমআরসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোদাচ্ছের আলী
এদিকে, বিভিন্ন দেশে করোনা টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ শুধু শঙ্কিত নন, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে দেশের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের কর্মকর্তাদের মধ্যেও। স্বাস্থ্য সচিব থেকে শুরু করে মন্ত্রীও নানা অনুষ্ঠানে তাদের শঙ্কার কথা বলেছেন। পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে আশ্বস্তও করছেন তারা।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মেনে নিয়ে ভ্যাকসিন নিতে হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
টিকায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলে জনসাধারণকে সবধরনের চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘যেকোনো ওষুধের কিংবা ভ্যাকসিনের সাইড ইফেক্ট থাকতে পারে। আমরা একটি ওষুধ গ্রহণ করলেও সেটার গায়ে লেখা থাকে কী কী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। আবার নাও হতে পারে। বিভিন্ন দেশে ভ্যাকসিনে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে। অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনেও হয়েছে। আমরা ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলে জনসাধারণকে সবধরনের চিকিৎসা সহায়তা দেব।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এ যাবৎ আমরা বাংলাদেশে যেসব ভ্যাকসিন দিয়ে থাকি সেখানেও কিন্তু সাইড ইফেক্ট আছে। কাজেই আমি মনে করি, এটাতে বড় কোনো সমস্যা হবে না।’
ড্রাই রানের পর এক সপ্তাহ অপেক্ষা : স্বাস্থ্য সচিব
স্বাস্থ্য সচিব আব্দুল মান্নান বলেন, ‘অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর এসেছে, কিন্তু অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়ে কোনো মৃত্যুর কথা জানা নেই। আমরা সতর্ক আছি, আপনারাও সতর্ক থাকবেন।’
তিনি বলেন, ‘দেশে টিকাদান উদ্বোধনের পর এর পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল এবং কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালকে নির্বাচন করা হয়েছে। সেখানে ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে ড্রাই রান বা টেস্ট হিসেবে এ টিকা দেওয়া হবে। তারপর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল অনুযায়ী, এক সপ্তাহ অপেক্ষা করব। আমরা দেখব টিকা নেওয়ার পরে তাদের মধ্যে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে কি-না।’
করোনার ভ্যাকসিনে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যেটা আছে, সেটি গুরুতর নয়। অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম। এজন্য আমি মনে করি, জনগণকে প্রস্তুত থাকতে হবে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মেনে নিয়ে ভ্যাকসিন নিতে হবে
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রোধে থাকবে ইমার্জেন্সি কিট : স্বাস্থ্য মহাপরিচালক
করোনাভাইরাসের টিকা গ্রহণের ফলে কোনোরকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে জরুরিভিত্তিতে টিকাগ্রহণকারীর চিকিৎসায় ইমার্জেন্সি জীবনরক্ষাকারী কিট থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম।
তিনি বলেন, টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে অনেকের মুখে আশঙ্কার কথা শুনেছি। যেকোনো টিকার ক্ষেত্রেই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। কোভিড টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেলে তার চিকিৎসায় সংশ্লিষ্ট টিকাকেন্দ্রে চিকিৎসক, নার্সসহ মেডিকেল টিম থাকবে। ইমার্জেন্সি জীবনরক্ষাকারী কিটসহ আমরা নানা ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।
খুরশিদ আলম বলেন, টিকাগ্রহণকারী প্রত্যেককে টিকা নেওয়ার পর ১৫ থেকে ২০ মিনিট সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রাখা হবে। তাকে প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ শেষেই বাসায় পাঠানো হবে।
টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে ঔষধ প্রশাসনের গাইডলাইন
টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে গাইডলাইন প্রস্তুত করেছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এ বিষয়ে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, যেকোনো ওষুধ বা ভ্যাকসিন প্রয়োগ করলে একটা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলাপর্যায়ে বিষয়টি দেখাশোনার জন্য একটা কমিটি করা হয়েছে। তারা বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন যে এটা কি ভ্যাকসিনের কারণে হলো, না অন্যকোনো কারণে হলো।
‘এটা করার পর আমাদের ঔষধ প্রশাসনের মহাপরিচালক বরাবর একটা রিপোর্ট আসবে। তারপর আবার আমাদের একটি জাতীয় কমিটি আছে, তারা বিষয়টি আবারও এনালাইসিস করবে এবং ফাইনালি রেগুলেটরি অ্যাকশন নেয়া হবে। এরপর আবার এটিকে আমাদের আন্তর্জাতিক মনিটরিং সেলে শেয়ার করব।’
টিকা নিলে কোন ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যে স্থানে টিকা দেওয়া হবে সেই স্থানে ব্যথা হতে পারে। হালকা জ্বর আসতে পারে। মাথাব্যথা করতে পারে। এছাড়া স্বল্প পরিমাণে শ্বাসকষ্টও দেখা দিতে পারে।’
দেশের সর্বশেষ করোনা পরিস্থিতি
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (২০ জানুয়ারি) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল সাত হাজার ৯৮১ জনে। এ সময়ে নতুন করে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৬১৯ জন। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৩০ হাজার ৮৯০ জনে।
২২ জানুয়ারি (শুক্রবার) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, নতুন করে ভাইরাসটি থেকে মুক্ত হয়েছেন ৪৮৭ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৭৫ হাজার ৫৬১ জন।
মারা যাওয়াদের মধ্যে ১০ জন পুরুষ এবং পাঁচজন নারী। তারা সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন। এর মধ্যে ঢাকায় আটজন, চট্টগ্রামে রয়েছেন চারজন, রাজশাহীতে একজন, রংপুরে একজন ও ময়মনসিংহে একজন।
বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ২১ লাখ ছাড়াল
বিশ্বে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৯ কোটি ৮০ লাখ ছাড়িয়েছে। অন্যদিকে, মৃত মানুষের সংখ্যা ২১ লাখ ছাড়িয়েছে। পরিসংখ্যান নিয়ে কাজ করা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ৯টার তথ্য বলছে, বিশ্বে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা নয় কোটি ৮০ লাখ ৮৬ হাজার ৯৭৮। একই সময় নাগাদ বিশ্বে করোনায় মোট মারা গেছেন ২১ লাখ ৩৪১ জন।
ওয়ার্ল্ডোমিটার বলছে, এখন পর্যন্ত বিশ্বে করোনা থেকে সেরে ওঠা মানুষের সংখ্যা সাত কোটি চার লাখ ৬৪ হাজার ৮৫২। বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দুই কোটি ৫১ লাখ ৯৬ হাজার ৮৬। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ৪ লাখ ২০ হাজার ২৮৫ জন।
ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় ভারতের অবস্থান দ্বিতীয়। ভারতে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এক কোটি ছয় লাখ ২৬ হাজার ২০০। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন এক লাখ ৫৩ হাজার ৬৭ জন।
টিআই/এমএআর/এফআর