নভেম্বরের মাঝামাঝি টরন্টোতে ই-পাসপোর্ট চালুর আশা প্রতিমন্ত্রীর
চলতি বছরের নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে কানাডার টরন্টোর বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল ই-পাসপোর্ট সেবা চালু করতে সক্ষম হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কানাডার টরন্টো সফরকালে বাংলাদেশ কনস্যুলেট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এমন প্রত্যাশার কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট বিভাগ এ নিয়ে কাজ করছে এবং ই-পাসপোর্টের জন্য প্রয়োজনীয় সেট-আপ নভেম্বরের মাঝামাঝি নাগাদ কনস্যুলেটে স্থাপন করা সম্ভব হবে।
শাহরিয়ার আলম বলেন, এ বছর বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। এ সময়ে বাংলাদেশ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছে।
এ চেতনায় কনস্যুলেটকে সেবা প্রদান, প্রবাসীদের প্রত্যাশা পূরণ এবং টরন্টোতে কনস্যুলেট জেনারেলের যথাযথ প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বর্তমান গতিশীলতা ও ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।
এ সময় কনসাল জেনারেল নাঈম উদ্দিন আহমেদ প্রতিমন্ত্রীকে মিশনের ডিজিটাইজড কনস্যুলার সার্ভিস সম্পর্কে বিস্তারিত অবহিত করেন, যার মাধ্যমে বর্তমানে টরন্টোর বাংলাদেশ কনস্যুলেট স্বল্প সময়ে স্বয়ংক্রিয় আধুনিক ডিজিটাইজড পদ্ধতিতে উন্নত কনস্যুলার সেবা দিচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকার কানাডার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে বিশেষ গুরুত্ব দেয়। তিনি দুদেশের মধ্যে সহযোগিতার নতুন সুযোগ ও কানাডার বিভিন্ন কলেজে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত ও উচ্চ মধ্যবিত্ত পর্যায় থেকে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
শাহরিয়ার উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশ কানাডার ডিরেক্ট স্টুডেন্টস স্ট্রিমে (এসডিএস) অন্তর্ভুক্তির জন্য দ্বিপাক্ষিক পর্যায়ে সব প্রচেষ্টা অব্যহত রেখেছে।
বর্তমানে সেখানকার কনস্যুলেট মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) সেবা দিচ্ছে।
এনআই/আরএইচ