চট্টগ্রামে গার্মেন্টস পণ্য চোরচক্রের ৫ সদস্য গ্রেফতার
চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী, চান্দগাঁও ও বাকলিয়া থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে গার্মেন্টস পণ্য চোরচক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে বায়েজীদ বোস্তামী থানা পুলিশ।
সোমবার (৪ অক্টোবর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত নগরীর বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, চক্রের কাছ থেকে চুরি হওয়া ৭২৫ পিস প্যান্ট উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেফতাররা হলেন- মো. হারুন (২৮), মো. শুক্কুর হোসেন (৩৩), মো. সেলিম (৫০), মো. আবদুর রহিম সুমন (২৪) ও কাজল (৪০)।
পুলিশ কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বলেন, গত ২৫ সেপ্টেম্বর বায়েজিদ বোস্তামী থানার মক্কা ওয়াশিং অ্যান্ড ডাইং থেকে ১ হাজার ৮০০ পিস প্যান্ট ওয়াশিং শেষে পটিয়ার শান্তিরহাটের সান ফ্যাশন গার্মেন্টসে কাভার্ডভ্যানে করে পাঠান মজিবুর রহমান নামের এক ব্যক্তি। মক্কা ওয়াশিংয়ের কাভার্ডভ্যান চালক মো. হারুন ও মো. শুক্কুর হোসেন সান ফ্যাশন ফ্যাক্টরিতে ১ হাজার পিস প্যান্ট বুঝিয়ে দেন। এসময় সান ফ্যাশন ফ্যাক্টরি কর্তৃপক্ষ মজিবুর রহমানকে বাকি ৮০০ পিস প্যান্টের জন্য ফোন করেন। তখন মজিবুর রহমান কাভার্ডভ্যান চালক হারুন ও শুক্কুর হোসেনের কাছে ৮০০ পিস প্যান্ট সর্ম্পকে জানতে চান। তখন তারা জানান সেলিম ও সুমনের প্ররোচণায় ৮০০ পিস প্যান্ট কাজলসহ তার সঙ্গে থাকা তিনজনের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, এঘটনায় মজিবুর বাদী হয়ে ৪ অক্টোবর সোমবার চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশ সোমবার রাতে মক্কা ওয়াশিং অ্যান্ড ডাইং থেকে মো. হারুন, মো. শুক্কুর হোসেন, মো. সেলিম ও মো. আবদুর রহিম সুমনকে গ্রেফতার করে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় চান্দগাঁও থানাধীন বহদ্দারহাট থেকে প্যান্টের ক্রেতা আসামি কাজলকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যে বাকলিয়া থানাধীন মিঞাখান নগর থেকে বাদীর চুরি যাওয়া ৭২৫ পিস প্যান্ট উদ্ধার করা হয়েছে।
কেএম/জেডএস