পূজামণ্ডপের আশপাশে দোকানপাট-মেলা নয়
পূজামণ্ডপের আশপাশে কোনো দোকানপাট ও মেলা বসতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
রোববার (৩ অক্টোবব) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে শারদীয় দুর্গোৎসবের আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, পূজামণ্ডপের আশপাশে কোনো দোকানপাট ও মেলা বসতে দেওয়া হবে না। আতশবাজি ও পটকা ফোটানো যাবে না, মাদক গ্রহণ করা যাবে না। অস্থায়ী পূজামণ্ডপগুলো নির্দিষ্ট দিনেই প্রতিমা বিসর্জন দিতে হবে।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ১১ থেকে ১৫ অক্টোবর ৩১ হাজার ১৩৭টি পূজামণ্ডপে পূজা হবে। মন্দিরে প্রবেশের সময় অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। মন্দিরে প্রবেশের সময় হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও ক্ষেত্র বিশেষ হাত ধোয়ার ব্যবস্থা থাকবে। থার্মাল স্ক্যানার থাকবে, কারো শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকলে পূজামণ্ডপে ঢুকতে দেওয়া হবে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজামণ্ডপে আরাধনা করতে হবে।
পূজামণ্ডপে প্রয়োজনীয় সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য মোতায়েন থাকবে বলেও জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, বড় বড় পূজামণ্ডপে র্যাব, পুলিশের বিশেষ টহেলের সঙ্গে সিসি ক্যামেরা দিয়ে নজরদারি করা হবে। সীমান্ত এলাকার পূজামণ্ডপে বিজিবি ও উপকূলীয় এলাকায় কোস্টগার্ড সতর্ক অবস্থায় থাকবে।
মন্ত্রী বলেন, কোনো দুষ্কৃতিকারী পূজামণ্ডপ এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে অথবা ফেসবুক বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালালে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইভটিজিং রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেকোনো বিশৃঙ্খল ঘটনা ঘটলে পূজামণ্ডপ কর্তৃপক্ষ স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করবেন।
তিনি বলেন, আজান ও নামাজের সময় মসজিদের নিকটস্থ পূজামণ্ডপগুলোতে যাতে সংযতভাবে তাদের পূজা-অর্চনা করে থাকেন, সে সময়ের জন্য যাতে বাদ্যযন্ত্র বন্ধ রেখে সচেষ্ট থাকেন, তা বলা হয়েছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, অনেক জায়গায় মসজিদ ও মন্দির অনেক পাশাপাশি, সেসব জায়গায় তাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
ঢাকা মহানগরে গত বছর ১৩২টি পূজামণ্ডপে পূজা হয়েছিল, এবার ১৩৭টিতে পূজা হবে বলেও জানান তিনি। মন্ত্রী বলেন, এবার সারাদেশে কয়েকশ পূজামণ্ডপ বেড়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিমা বিসর্জন দিতে হবে।
এসএইচআর/জেডএস