মুজিববর্ষেই ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণের দাবি
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো ইবতেদায়ী মাদরাসাগুলো মুজিববর্ষেই জাতীয়করণসহ সাত দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষক সমিতি। দাবি আদায় না হলে ১-১৫ নভেম্বর পর্যন্ত উপজেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মাধ্যমে স্ব স্ব এলাকার সাংসদের সঙ্গে আলোচনা ও স্মারকলিপি প্রদান করা হবে।
এছাড়া আগামী ২০২২ সালের ২৫ জানুয়ারি সব জেলায় মানববন্ধন এবং জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। রোববার (৩ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমিতির আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এসব দাবি জানানো হয়।
তাদের অন্যান্য দাবিগুলো হচ্ছে— কোডবিহীন মাদরাসাগুলো মাদরাসা বোর্ডের কোড নম্বরে অন্তর্ভুক্ত করা; মাদরাসা নীতিমালা ২০১৮ সংশোধন করে একজন আলিম শিক্ষকের পরিবর্তে এইচএসসি পাস একজন শিক্ষক অন্তর্ভুক্ত করা; অফিস সহায়ক নিয়োগ প্রদান; মাদরাসা শিক্ষকদের পিটিআই ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা; মাদরাসায় আসবাবপত্রসহ ভবন নির্মাণ করা এবং মাদরাসার স্থায়ী রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করা।
মানববন্ধনে সমিতির মহাসচিব কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, ইবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষকরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মতো সরকারের সব কাজে অংশগ্রহণ করে। মাস শেষে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন পান। কিন্তু ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষকরা তেমন কোনো বেতন পান না। তবুও তারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো শিক্ষকতা চালিয়ে যাচ্ছেন। ১ হাজার ৫১৯টি মাদরাসা শিক্ষকরা সর্বসাকুল্যে প্রধান শিক্ষক ২৫০০ টাকা, সহকারী শিক্ষক ২৩০০ টাকা ভাতা পান। বাকি রেজিস্ট্রেশন পাওয়া মাদরাসাগুলোর শিক্ষকরা ৩৭ বছর ধরে বেতন-ভাতা থেকে বঞ্চিত।
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব হাফেজ কাজী ফয়েজুর রহমান, সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা মোঃ শাহজাহান, মাওলানা এবিএম আব্দুল কুদ্দুস, যুগ্ম-মহাসচিব আবু মুসা ভূঁইয়া, বশির উল্লাহ আতাহারী প্রমুখ।
এমএইচএন/এমএইচএস